প্রিয় ২০২২ এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে দ্রুত। তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট যুদ্ধে সহযোদ্ধা হতে চলে এলাম HSC 2022 ৬ষ্ট সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট রসায়ন বিজ্ঞান সমাধান নিয়ে।
আমরা সবসময় নির্ভুল ও ইউনিক উত্তর করার চেষ্টা করি। টাইপিং জনিত ভুল হলে ক্ষমা প্রার্থী। তোমরা অবশ্যই নিজেদের মেধা খাটিয়ে বই সামনে রেখে আমাদের উত্তরের সাহায্যে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করবে। এতে হুবাহু নকল হওয়া থেকে বিরত থাকা যাবে।
বিষয়ঃ রসায়ন বিজ্ঞান ১ম পত্র
বিষয় কোডঃ
উত্তরঃ পরমাণুতে যতটি প্রোটন নিউক্লিয়াসে থাকে ততটি ইলেক্ট্রন বিভিন্ন অরবিটালে সজ্জিত অবস্থায় থাকে। একে ইলেক্ট্রন বিন্যাস বলে। ইলেক্ট্রন বিন্যাস লিখতে আউফবাউ (Aufbau), হুন্ড/(Hound's) ও পলির বর্জন (Pauli's Exclusion) ইলেকট্রন বিন্যাস নীতি সমূহে নিম্নে ব্যাখ্যা করা হলােঃ
আউফবাউ নীতিঃ- পরমানুর ইলেকট্রনগুলাে উহার অরবিটালে শক্তির উচ্চক্রম অনুসারে প্রবেশ করে। অর্থাৎ যে অরবিটালটির শক্তি (Energy) কম সেই অরবিটালটি পূর্ণ হয়ে পরের উচ্চ শক্তির অরবিটালটি ইলেক্ট্রন দ্বারা পূর্ণ হয়। এ নীতিকে আউফবাউ নীতি বলা হয়। আউফবাউ জার্মান শব্দ যার অর্থ Building up এখন দুটি অরবিটালের মধ্যে কোনটির শক্তি কম, কোনটির বেশি তা অরবিটালদ্বয়ের প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা।
হুন্ডের নীতিঃ- এই সূত্রানুযায়ী, কোনাে উপস্তরের সমশক্তিসম্পন্ন প্রতিটি অরবিটাল একটি করে ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোনাে অরবিটালে ইলেকট্রন ইলেকট্রন জোড়াবদ্ধ অবস্থায় থাকতে পারে না। অর্থাৎ যতক্ষন পর্যন্ত সমশক্তিসম্পন্ন একাধিক অরবিটাল খালি অবস্থায় থাকে ততক্ষন নবাগত ইলেকট্রন একটি একটি করে প্রথমে ঐ খালি অরবিটাল গুলাে একমুখী স্পিনে পূর্ণ করে। এইভাবে সমশক্তি সম্পন্ন প্রতিটি খালি অরবিটাল একটি করে ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ হওয়ার পর ঐ সব একক ইলেকট্রন বিশিষ্ট অরবিটালগুলাের মধ্যে নাবাগত এবং বিপরীত ঘূর্ণন যুক্ত ইলেকট্রন একটি করে প্রবেশ করে।
পালির বর্জন নীতিঃ যেখানে n একটি অঋণাত্মক (পূর্ণসংখ্যা) অর্থাৎ যারা পদার্থের গাঠনিক উপাদান (এরা বলের কণিকাসমূহ, যাদের মান ০, ১, বা ২ তাদের থেকে ভিন্ন), তাদের যেকোন দুইটি কখনাে একই কোয়ান্টাম দশায় থাকতে পারে না। --- এই নীতিকেই পাউলির বর্জন নীতি বলা হয়। সােজা কথায়, এমন দুইটি মৌলিক কণিকার অবস্থান এবং বেগ কখনাে এক হবে না।
- s-অরবিটাল ত্রিমাত্রিকভাবে x অক্ষ y অক্ষ z অক্ষ বরাবরে সমভাবে বিস্তৃত থাকে। প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা n এর মান যত বড় হবে s অরবিটালের আকারও তত বড় হয়।
- P- অরবিটালের আকৃতি ডাম্বেল আকৃতির এবং ত্রিমাত্রিক স্থানাংক ব্যাবস্থায় এটি X,Y,Z যেকোনাে অক্ষে বিস্তৃত।
- d- অরবিটালের আকৃতি ডাবল ডাম্বেল আকৃতির।
৪র্থ শক্তিস্তরের কোয়ান্টাম সংখ্যা ও ইলেকট্রণ সংখ্যা নিম্নে নির্ণয় করা হলাে:
হাইড্রোজেনের উত্তেজিত পরমাণুর ইলেকট্রনগুলাের প্রত্যেকে চারটি বর্ণালীর যেকোনাে একটি বর্ণালী বিকিরণ করে। এদের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৬৫৬.৩, ৪৮৬.১, ৪৩৪.১ ও ৪১০.২ ন্যানােমিটার যা যথাক্রমে লাল, সবুজ, নীল ও বেগুনী বর্ণালি রেখার প্রতিনিধিত্ব করে। এরা দৃশ্যমান আলাে বর্ণালীর তরঙ্গদৈর্ঘ্য হল ৪০০ থেকে ৭০০ ন্যানােমিটারের মধ্যে পড়ে।
বাের মডেলের স্তরের মধ্যে শক্তি পার্থক্য এবং সে কারণে নির্গত/শােষিত ফোটনের তরঙ্গদৈর্ঘ্যসমূহ রাইডবার্গ সূত্রে দেওয়া হয়:
এখানে,
Z হল পারমাণবিক সংখ্যা R, হল মূল কোয়ান্টাম সংখ্যার নিম্ন শক্তি স্তর, n হল উচ্চ শক্তি স্তরের মূল কোয়ান্টাম সংখ্যা এবং হল রাইডবার্গ ধ্রুবক (১.০৯৬৭৭×১০৭m-1) হাইড্রোজেনের জন্য এবং ১.০৯৭৩৭×১০৭m-1 ভারী ধাতুর জন্য।
অর্থবােধক মানগুলি কেবল তখনই প্রদান করে যখন এর থেকে কম হয়।
অনেক ধন্যবাদ
ReplyDeleteThank you
Delete