প্রিয় এসএসসি ২০২১ সালের পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করছি সবাই ভাল। দীর্ঘ ২ বছর পর তোমাদের স্কুল খুলতে যাচ্ছে আগমী ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ সালে। অবশ্যই তোমরা অনেক খুশি। এতে তোমাদের পরীক্ষার সম্ভাবনা আরো একধাপ এগিয়ে গেলো।
আজ এই পোষ্টে বিজ্ঞান বিভাগের ৭ম সপ্তাহের বিজ্ঞান বিভাগের জীব বিজ্ঞান বিষয়ের সমাধান লিখতে বসলাম। টাইপিং মিস্টেক জনিত ভুল ছাড়া অন্য সাধারন ভুল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। মিলিয়ে নাও তোমাদের সাথে।
বিষয়: জীব বিজ্ঞান
বিষয় কোড:
অ্যাসাইনমেন্টের
শিরোনামঃ “একটি ফুলের বিভিন্ন যুবক চিহ্নিতকরণ এবং পবাগান মাধ্যমের সাথে তার সম্পর্ক
বিশ্লেষণ”
আমার
আশেপাশে পাওয়া ফুলের নাম হল ‘জবা'। নিম্নে জবা ফুলের বিভিন্ন স্তবক চিহ্নিতকরণ এবং
পরাগায়ন মাধ্যমের সাথে জবা ফুলের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হলঃ
ক) জবা ফুলের ব্যবচ্ছেদ করে প্রাপ্ত স্তবক গুলোর লেবেলিং নিম্নরুপঃ
খ) নিম্নে জবা ফুলের পাঁচটি স্তবকের স্কেল (cm) এককে নির্ণয় করা হলো
গ) নিম্নে ছক অনুসারে জবা ফুলের ৬ টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ্য করা হল-
১।
রং: রঙ উজ্জ্বল লাল বর্ণের।
২।
গন্ধ: গন্ধ নেই।
৩।
আকৃতি: আকারে বড়, পেয়আকৃতি হয়।
৪।
ফোটার সময়: ফোটার সময় অনির্দিষ্ট।
৫।
স্তবকের আপেক্ষিক অবস্থান: পুংকেশর বা পরাগধানী দলমন্ডল থেকে অনেকখানি বেরিয়ে থাকে
এবং প্রায় খাড়াভাবে দণ্ডায়মান ফুল।
৬।
নেকটার: অধিক পরিমাণ, আঠালো।
ঘ) নিম্নে জবা ফুলের পরাগায়নের সম্ভব্য মাধ্যমে আলোচনা করা হল-
পরাগায়ন:
যখন পরাগধানী হতে পরাগরেণু কোনো মাধ্যমের বা বাহকের দ্বারা স্থানান্তরিত হয়ে একই
প্রজাতির অন্য একটি গাছের ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়ে তখন তাকে পরাগায়ন বলে।
পরাগায়নের
মাধ্যম: যে মাধ্যম পরাগ বহন করে গর্ভমুণ্ড পর্যন্ত নিয়ে যায় তাকে পরাগ মাধ্যম বলে।
যেমন বায়ু, পানি, কীটপতঙ্গ, পাখি, বাহাদুর, শামুক ইত্যাদি।
জবা
ফুলের পরাগায়ন হয় মৌমাছির মাধ্যমে। কারন জবা ফুল হল একটি পতঙ্গ পরাগী ফুল। একটি পতঙ্গ
পরাগী ফুলের পরাগায়ন মাধ্যম গুলোর সাহায্য পেতে হলে ফুলের যে সকল বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের
প্রয়োজন হয় তা জবা ফুলে বিদ্যমান। জবা ফুল বড়, রঙিন হয়ে থাকে। ফুলটি সুগন্ধি,
মধুগ্রন্থিযুক্ত হয়ে থাকে। এ ফুলের পরাগরেণু ও গর্ভমুণ্ড আঠালো।
উক্ত বৈশিষ্ট্য গুলো একটি পতঙ্গপরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য। তাই বলা যায় জবা একটি পতঙ্গ পরাগী ফুল এবং এর পরাগায়নের বাহন হলো মৌমাছি।
Post a Comment
0 Comments