প্রযুক্তি

Type Here to Get Search Results !

সৃজনশীল প্রশ্ন সহজে উত্তর করার কৌশল

সৃজনশীল প্রশ্ন সহজে উত্তর করার কৌশল


সৃজনশীল প্রশ্ন সহজে উত্তর করার কৌশল: বাংলা ১ম পত্র

শিক্ষার্থীরা বাংলা প্রথম পত্র নিয়ে তোমরা অনেকেই হয়তো কিছুটা দ্বিধা ও সংশয়ের মধ্যে আছো। কিন্তু ভয়-ভীতি বা সংশয়ে থাকার কোনো কারণ নেই। কেননা কিছু নিয়ম-কানুন অনুসরণ করলে দেখবে, এ পরীক্ষাটাই তোমাদের সবচেয়ে ভালো হয়েছে। তার চেয়ে বড় কথা, তুমি ইচ্ছে করলে বাংলা প্রথম পত্রে একশতে একশই পেতে পার, যা ইতৎপূর্বে কেউ কখনও কল্পনাও করতে পারত না।

সৃজনশীল পদ্ধতিতে তোমার পাঠ্যসূচির কোনো গল্প/কবিতা/উপন্যাস/নাটকের ভাব (Theme)-এর আলোকে একটি মৌলিক উদ্দীপক এবং সংশ্লিষ্ট চারটি প্রশ্ন থাকবে। যে গল্প/কবিতা/উপন্যাস/নাটকের আলোকে উদ্দীপক তৈরি করা হবে সেই গল্প/কবিতা/উপন্যাস/নাটক থেকেই থাকবে জ্ঞান এবং অনুধাবনমূলক প্রশ্ন। এ প্রশ্ন দুটি উত্তর করতে উদ্দীপকে যেতে হবে না। প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন হবে উদ্দীপক ও পাঠ্যবই সংশ্লিষ্ট।

সৃজনশীল প্রশ্ন বিভাজন

  • ”ক" বিভাগে (গদ্য) চারটি, 'খ' বিভাগে (কবিতা) তিনটি এবং 'গ' বিভাগে (উপন্যাস থেকে দুটি ও নাটক থেকে দুটি) চারটি, মোট এগারোটি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি বিভাগ থেকে ন্যূনতম দুটিসহ সর্বমোট সাতটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো- কোনোক্রমেই একটি প্রশ্নের (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন) উত্তরে ১৮ মিনিটের বেশি সময় দেওয়া যাবে না। এর চেয়ে বেশি সময় দিলে তুমি বাকি প্রশ্নের উত্তর শেষ করতে পারবে না।

কিভাবে উত্তর লেখা উচিত

  •  সৃজনশীল পদ্ধতিতে যেহেতু চারটি অংশ (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) মিলে একটি পুর্নাঙ্গ প্রশ্ন, তাই প্রতিটি অংশের সময় প্রতিবার নম্বরটা আলাদাভাবে লিখবে। যেমন- তুমি ৩ নম্বর প্রশ্নটা উত্তর করবে। সেক্ষেত্রে-


৩ নং প্রশ্নের উত্তর (ক)


৩নং প্রশ্নের উত্তর (খ)


৩ নং প্রশ্নের উত্তর (গ)


 ৩নং প্রশ্নের উত্তর (ঘ) এভাবে লিখলে ভালো।


আর এ লেখাগুলো ভিন্ন রঙের (নীল/মেরুন/বাদামি ইত্যাদি) কালি দিয়ে লিখলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে। তবে কোনভাবে লাল বা গোলাপী রং এর কালি ব্যবহার করা যাবে না।


  • যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করলে তার চারটি অংশের উত্তরই ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। একটি প্রশ্নের জ্ঞানের উত্তর আরেক প্রশ্নের প্রয়োগের উত্তর এভাবে করা যাবে না। কোনো উত্তর যদি কেউ না পারে সেক্ষেত্রে সেটা বাদ দিয়ে তার পরের অংশের উত্তর করতে হবে। জায়গা ফাঁকা রাখার দরকার নেই।


জ্ঞানমূলক প্রশ্নের ধরন ও উত্তর কৌশল


  • জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর হলো সম্পূর্ণ স্মৃতিনির্ভর। এ ধরনের প্রশ্নে শিক্ষার্থী জ্ঞান দক্ষতা যাচাই করা হয়।

  •  জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর উদ্দীপকে উল্লেখ থাকবে না; উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট গদ্য/কবিতা/উপন্যাস/নাটকে সরাসরি উল্লেখ থাকবে।
  •  মূল বইতে উল্লেখ নেই এমন কোনো তথ্য জ্ঞানমূলক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হবে না।
  • তাই মূল বই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়তে হবে এবং তথ্যমূলক অংশ খাতায় নোট করে তা আয়ত্ত করতে হবে।
  • এ জাতীয় প্রশ্ন, কী, কে, কখন, কোথায়, কাকে, কয়টি, কোনটি ইত্যাদি প্রশ্নবোধক শব্দ দিয়ে করা হয়। তাই এ জাতীয় শব্দ দিয়ে মূল বই থেকে যেসব প্রশ্ন হতে পারে তা আয়ত্ত করতে হবে।
  • মূল বইয়ের গদ্য/কবিতা/উপন্যাস/নাটক ছাড়াও লেখক/কবি/ঔপন্যাসিক/নাট্যকার পরিচিতি অংশ সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে। তাঁদের জন্ম, মৃত্যু, উপাধি, ছদ্মনাম, পুরস্কার, উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ইত্যাদি মনে রাখতে হবে।
  • পাঠ্যভুক্ত প্রতিটি গদ্য/কবিতা/উপন্যাস/নাটক কোন সালে রচিত হয়েছে, প্রথম কোন সালে প্রকাশিত হয় এবং কোন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে তা মনে রাখতে হবে।
  • গদ্য/কবিতার উৎস, মূলবক্তব্য এবং শব্দার্থ ও টীকা অংশ ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে।
  • বাংলা সহপাঠ মূল বইয়ের শুরুতে দেওয়া ভূমিকাসহ উপন্যাস ও নাটক সম্পর্কিত আলোচনা অংশটুকু অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পড়তে হবে।
  • এ জাতীয় প্রশ্নের ১০০%-ই মূল বই থেকে কমন পড়বে। তাই দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নম্বর ১। এর উত্তর একটি শব্দে, একাধিক শব্দে বা একটি বাক্যেও দেওয়া যাবে না। তবে এ স্তরের উত্তর একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্যে দিলে ভালো। আর এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে জ্ঞানমূলক প্রশ্নে যে তথ্যটি জানতে চাওয়া হয়েছে সেটির বানান ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে এবং শূন্য পাবে। যেমন- 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের লেখক কে? এখানে 'সঞ্জীবন্দ্র চট্টোপাধ্যায়'-এর নামের বানানটি ভুল হলে উত্তর কাটা যাবে, কোনো নম্বর পাবে না।


অনুধাবনমূলক প্রশ্নের ধরন ও উত্তর কৌশল


  • অনুধাবন বলতে কোনো বিষয়ের অর্থ বোঝার ক্ষমতাকে বোঝায়। এ ধরনের প্রশ্নে শিক্ষার্থীকে কোনো বিষয়বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা বা বর্ণনা দিতে বলা হয়।
  • অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট গদ্য/কবিতা/উপন্যাস/নাটক থেকে করা হবে। তবে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর সরাসরি পাঠ্যবইয়ে পাওয়া যাবে না, উত্তরের জন্য শিক্ষার্থীকে ভাবতে হবে।
  • কী বোঝায়/কাকে বলে/ কেন একথা বলা হয়েছে/ কেন এ ঘটনা- তা ব্যাখ্যা কর বা বর্ণনা কর এজাতীয় শব্দ দিয়ে এ ধরনের প্রশ্ন করা হবে। তাই এ জাতীয় শব্দ দিয়ে পাঠ্যবই থেকে যেসব প্রশ্ন হতে পারে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আয়ত্ত করতে হবে।
  • পাঠাভুক্ত গদা/কবিতা/উপন্যাস/নাটকের গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ লাইন, পঙক্তি, উক্তি বাছাই করে সেগুলোর মর্মার্থ ব্যাখ্যা করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
  • পাঠ্যবইয়ের যে অংশের আলোকে উদ্দীপক তৈরি করা হবে সাধারণত সে অংশ থেকেই অনুধাবনমূলক প্রশ্নটি করা হবে, তাই সংশ্লিষ্ট অংশটির মূলভাব অনুধাবন করতে পারলেই এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ হবে।
  • উদ্দীপক যে ধরনেরই হোক না কেন অনুধাবনমূলক প্রশ্ন নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। কারণ এ ধরনের প্রশ্নের ১০০%-ই মূল বই থেকে করা হবে।

কিভাবে অনুধাবনে ২ নম্বর পাওয়া যাবে:

অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর ২। কারণ এর মধ্যে একটি নম্বর জ্ঞানের জন্য, আরেকটি নম্বর অনুধাবনের জন্য। তুমি ইচ্ছে করলে জ্ঞানমূলক অংশের উত্তর আগে অনুধাবনমূলকের উত্তর পরে অথবা অনুধাবনমূলকের উত্তর আগে জ্ঞানমূলকের উত্তর পরে লিখতে পার। তবে জ্ঞানমূলকের উত্তর আগে লিখে অনুধাবনমূলকের উত্তর পরে লেখাই ভালো। অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর এক প্যারাতেও লেখা যায়। তবে দুই প্যারাতে লেখার চেষ্টা করবে। আর অনুধাবনমূলক প্রশ্নের শুরুতে অযথা কবি/ সাহিত্যিককে নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করার দরকার নেই। মনে রাখতে হবে, সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর হবে- জিরো ফ্যাট' অর্থাৎ চর্বিশূন্য। শুধু অনুধাবনেই নয়, কোনোক্রমে কোনো প্রশ্নের উত্তরেই অপ্রাসঙ্গিক কথা, অপ্রয়োজনীয় তথ্য বা বাহুল্যদোষ করা যাবে না।


প্রয়োগমূলক প্রশ্নের ধরন ও উত্তর কৌশল

  • এ জাতীয় প্রশ্নে শিক্ষার্থীর পাঠ্যবই থেকে অর্জিত জ্ঞান ও অনুধাবন নতুন পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করার দক্ষতা যাচাই করা হয়।
  • প্রয়োগমূলক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থীর নিজস্ব মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকে। তাই প্রশ্নের ধরন অনুযায়ী শিক্ষার্থী তার অর্জিত জ্ঞান ও অনুধাবন কাজে লাগিয়ে উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট গদ্য/ কবিতা/ উপন্যাস/ নাটকের আলোকে নতুনভাবে উত্তর করতে পারবে।
  • এ ধরনের প্রশ্ন মিল/ সাদৃশ্য দেখাও, অমিল/ বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর, তুলনামূলক আলোচনা কর, এক্ষেত্রে তুমি হলে কী করতে, উদ্দীপকটি গল্প/কবিতার কোন দিকটি নির্দেশ করে, তোমার দেখা এমন একটি ঘটনা বর্ণনা কর ইত্যাদি প্রশ্নবোধক শব্দ দিয়ে করা হয়। এ জাতীয় প্রশ্নবোধক শব্দ দিয়ে তোমার পাঠ্যবই থেকে যেসব প্রশ্ন হতে পারে তা ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে।
  • প্রয়োগমূলক প্রশ্নের উত্তরে মূলভাব ঠিক রেখে শিক্ষার্থীরা নিজের মতো করে উত্তর দিতে পারবে।
  • এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর সহজে করতে হলে শিক্ষার্থীকে উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট পাঠ্য বিষয়টির মূল পাঠ বা মূলভাব ভিন্ন বাস্তব প্রেক্ষাপটে এনে সাজানোর সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
  • প্রয়োগমূলক প্রশ্নের উত্তর উদ্দীপক কিংবা উদ্দীপক সংশ্লিষ্ট পাঠ্য বিষয়ে সরাসরি না থাকলেও বক্তব্য বিষয়টির সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা থাকবে। তাই চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

কিভাবে প্রয়োগমূলক প্রশ্নে ৩ পাওয়া যাবে:

প্রয়োগমূলক প্রশ্নের মোট নম্বর-৩। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে এবং ১ নম্বর প্রয়োগে। যদিও এক প্যারাতে সব তথ্য দিয়ে উত্তর লিখলেও হবে। তবে দুই/তিন প্যারা করাই ভালো। প্রয়োগ মানের আমরা জানি শিক্ষার্থী তার পাঠ্যবই থেকে যা জেনেছে এবং যা বুঝেছে তা নতুন ক্ষেত্রে অর্থাৎ উদ্দীপকে প্রয়োগ করবে। কাজেই উদ্দীপকটি যে ভাব/Theme-এর আলোকে তৈরি করা হয়েছে এবং উদ্দীপকের সাথে সংশ্লিষ্ট গল্প/ কবিতার যে দিকটির সাদৃশ্য/ বৈসাদৃশ্য থাকে সেটিই জ্ঞান। ঐ দিকটি একটি বাক্যে লিখতে পারলেই ১ নম্বর অর্থাৎ জ্ঞানের উত্তর হয়ে গেল। তারপর ঐ দিকটি/ প্রসঙ্গটি পাঠ্যবই-এর আলোকে বর্ণনা করাই হল অনুধাবন। দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবন অংশের উত্তর লিখতে পারা এবং সবশেষে ঐ দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুঠে উঠেছে তা বর্ণনা করাই প্রয়োগ।


উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের ধরন ও উত্তর কৌশল

  • এটি চিন্তন দক্ষতার চতুর্থ স্তর বা শেষ স্তর। উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নে শিক্ষার্থীর পাঠ্যবই থেকে অর্জিত জ্ঞান ও অনুধাবন নতুন কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত প্রদানের সক্ষমতা যাচাই করা হয়।
  • এ জাতীয় প্রশ্নে -বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর, যাচাই কর, মূল্যায়ন কর, বিচার কর, যথার্থতা নিরূপণ কর, পরামর্শ দাও, আলোচনা কর, পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর ইত্যাদি প্রশ্নসূচক শব্দ ব্যবহার করা হয়।
  • এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে প্রশ্নোল্লিখিত বিষয় সম্পর্কিত তথ্য ও উপাত্ত জানা থাকতে হবে এবং তা আলোচনার মাধ্যমে প্রশ্নের আলোকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
  • উদ্দীপক ও উদ্দীপক-সংশ্লিষ্ট বিষয়টি শিক্ষার্থী প্রশ্নের আলোকে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত প্রয়োগ করবে।
  • এ জাতীয় প্রশ্ন অপেক্ষাকৃত জটিল হলেও শিক্ষার্থী যদি সংশ্লিষ্ট পাঠ্য বিষয়টি ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারে এবং নিজের ভাষায় সিদ্ধান্ত ও বক্তব্য প্রদান করতে পারে তবে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

কিভাবে উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নে ৪ পাওয়া যাবে:

উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৪। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে, ১ নম্বর প্রয়োগে এবং ১ নম্বর উচ্চতর দক্ষতায়। উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার। প্রশ্নেই সাধারণত একটা অনুসিদ্ধান্ত দেওয়া থাকবে। যদি সিদ্ধান্তটি সঠিক হয় তাহলে সেটাকেই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে, উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করতে হবে যে সিদ্ধান্তটি সঠিক। আর যদি সিদ্ধান্তটি ভুল হয় তাহলে কেন ভুল সেটাও প্রমাণ করতে হবে। অনেক সময় সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে উদ্দীপকের সাথে পাঠ্যবইয়ের যে অংশটুকুর মিল আছে তা বর্ণনা করে যে যে ক্ষেত্রে মিল নেই সেগুলোও বর্ণনা করতে হবে এবং সর্বশেষ সিদ্ধান্ত দিতে হবে যে বক্তব্যটি/সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য পুরোপুরি নয়। বিচার-বিশ্লেষণ-সংশ্লেষণ, মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত দেওয়ার নামই উচ্চতয় দক্ষতা। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি/প্রশ্নটি ভালোভাবে পকে পাঠ্যবইয়ের সাথে মিলিয়ে বুঝতে হবে। সিদ্ধান্ত বুঝতে ভুল হলে পুরো ৪ নম্বরে ০ পাবে। এক্ষেত্রে তিনটি/চারটি প্যারা করার চেষ্টা করবে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.