স্মার্ট বাংলাদেশ বাংলা অনুচ্ছেদ
স্মার্ট বাংলাদেশ বর্তমান সরকারের নতুন আবিষ্কার। বর্তমান সময়ে স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে বেশ কথা বার্তা হচ্ছে ইতোমধ্যে স্কুল পর্যায়ে প্রতিযোগীতাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিকট ভবিষ্যতে যে সব পরীক্ষা হবে সেসব পরীক্ষায় স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে বাংলায় অনুচ্ছেদ অথবা ইংরেজীতে Paragraph আসার সম্ভাবনা খুব বেশি। তাই শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ রচনা লেখার চেষ্টা করেছি।
আমরা আমাদের মতো করে তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি তবে শিক্ষার্থী চাইলে নিচের সুবিধামতো ছোট বা বড় করে সাজিয়ে নিতে পারে।
বর্তমানে আলোচিত ও জনপ্রিয় বাক্য ”স্মার্ট বাংলাদেশ” বিষয়ে একটি অনুচ্ছেদ রচনা লেখ:(alert-success)
স্মার্ট বাংলাদেশ
ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের পর এবার নতুন মিশন 'স্মার্ট বাংলাদেশ'। যা ২০৪১ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূলত 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' টাস্কফোর্সের পরিবর্তিত নাম হলো 'স্মার্ট বাংলাদেশ। এর চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী। 'রূপকল্প ২০৪১- এর অভীষ্ট অর্জন দ্রুততর করতেই 'স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে।
২০০১ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত আয় নিশ্চিতকরণ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ জ্ঞানভিত্তিক, উচ্চ অর্থনীতির উন্নতী, সমৃদ্ধশালী দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১২ হাজার ৫০০ ডলারে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ৪টি ভিত্তি হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। এর আওতায় কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বাণিজ্য, পরিবহন অবকাঠামো, বাণিজ্য, গভর্ন্যান্স, আর্থিক লেনদেন, নিরাপত্তা, কমিউনিটির মতো খাত প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত হবে এবং প্রশিক্ষণ খাত হবে স্মার্ট।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ প্রায় ১২০০ মার্চেন্ট নিয়ে শুরু হয় ক্যাশলেস নগদবিহীন বাংলাদেশ উদ্যোগের যাত্রা। দেশের প্রথম স্মার্ট উপজেলা- শিবচর, মাদারীপুর (উদ্বোধন ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩)। এর ৪টি ভিত্তি: ১। স্মার্ট সিটিজেন ২। স্মার্ট ইকোনমি ৩। স্মার্ট গভর্নমেন্ট ৪। স্মার্ট সোসাইটি।
উপরের অনুচ্ছেদ ভালো না লাগলে নিচেরটি পড়ে দেখতে পারেন-
স্মার্ট বাংলাদেশ
একটি সুন্দর স্বপ্ন, এটি একটি সামর্থ্যের সৃজনশীল বাংলাদেশ যেখানে তথ্যপ্রযুক্তির সাথে উন্নত জীবনযাপনের সম্ভাবনা রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার, সমৃদ্ধ শিক্ষাপ্রণালী, ডিজিটাল সেবা, ই-গভর্ন্যান্স, এবং অন্যান্য দিক থেকে উন্নত সমৃদ্ধির দিকে গতি পেয়েছে।
এই স্মার্ট সমৃদ্ধির কাজে অনেক প্রকল্প প্রযুক্ত হয়েছে, সেগুলির মধ্যে অন্যত্র "ডিজিটাল বাংলাদেশ," "ডিজিটাল সেন্টার," এবং "ই-আগ্রণী" উল্লেখযোগ্য। এই প্রস্তুতি গুলি একে অপরের সাথে সংযোগিত এবং জনগণের জীবনে পৌঁছে দেয় আনেক সুযোগ এবং সুবিধা।
স্মার্ট বাংলাদেশ একটি বাংলাদেশ যেখানে বৃদ্ধিশীল স্থানীয় উৎপাদন, উদ্যোগের প্রসার, এবং শিক্ষার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের সাথে সমর্থনের দিকে প্রবৃদ্ধি করতে সমর্থ হবে। এটি দেশটির একটি আরম্ভিক বুদ্ধিমত্তা এবং উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি অর্জন করতে সহায়ক হতে পারে।
স্মার্ট বাংলাদেশ দেশের স্থায়ী সামর্থ্যের নির্মাণে সাহায্য করতে সম্পৃক্ত এবং এটির প্রগতি সবার জন্য একটি আদর্শ সূচনা। এই স্মার্ট উন্নতির প্রস্তুতি সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের প্রগতির একটি স্বপ্নকে বাস্তবতা তৈরি করছে।
Post a Comment
0 Comments