প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজারের আকাশে তৈরী করা হয়েছে উডন্ত রেস্টুরেন্ট। কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ‘ফ্লাই ডাইনিং’ নামের একটি উড়ন্ত রেস্টুরেন্ট উদ্ভোধন করে উদ্যোক্তারা।
আকর্ষণীয়
এই উড়ন্ত রেস্টুরেন্টে জনপ্রতি খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৮ হাজার
টাকা (খাবারসহ)।
পাটাতনে
ওঠা, আকাশে উড্ডয়ন এবং অবস্থান ও নেমে আসার সময়সহ প্যাকেজের পরিধি ৪৫ মিনিট থেকে
এক ঘণ্টা। ২৪ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ‘ফ্লাই ডাইনিং' রেস্টুরেন্টটি মাটি থেকে সৈকতের
আকাশে ১৬০ ফিট উপরে তুলে চতুর্দিক ঘুরতে ঘুরতে ক্রেতাদের খাবার পরিবেশন করবে। এ সময়
আকাশ থেকে উপভোগ করা যাবে সৈকত ও আশপাশের দৃশ্যও।
মঙ্গলবার
(৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সৈকতপাড়ের সুগন্ধা পয়েন্টে এ রেস্টুরেন্টটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা
শুরু হয়। ফ্লাই ডাইনিংয়ের পরিচালক দিভিয়া পাটাক (ভারতীয় নাগরিক) জানান, কক্সবাজার
দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হলেও এখানে বিনোদনের তেমন কোনো মাধ্যম নেই। এখানে দেশ
বিদেশের প্রচুর পর্যটক ভ্রমণে আসেন। তারা এই ফ্লাই ডাইনিংকে অনেক পছন্দ করবেন। সেই
চিন্তা মাথায় রেখে সর্বপ্রথম কক্সবাজারে এই ফ্লাই ডাইনিং চালু করা হয়েছে। এটি অনেক
অ্যাডভেঞ্চারাস ও আনন্দদায়ক হবে বলে জানান তিনি।
প্রথম
দিন ফ্লাই ডাইনিংয়ে রাইড করা কয়েকজন জানান, দেশের বাইরে এ ধরনের রাইডের কথা এতোদিন
শুনে আসছিলাম কিন্তু এই প্রথম দেশে এমন একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা সত্যিই বিরল। এটি কক্সবাজারকে
বর্হিবিশ্বে আরও পরিচিত করবে।
ফ্লাই
ডাইনিং রেস্টুরেন্টের কর্ণধার (ভারতীয় নাগরিক) নবাব ফয়েজ আবু বক্কর খান জানান, ফ্লাই
ডাইনিং বেশ কয়েকবছর ধরে বিশ্বের অন্তত ৫০ টি দেশে চালু থাকলেও বাংলাদেশে এটিই প্রথম।
জার্মান প্রযুক্তিতে তৈরি এই ফ্লাই ডাইনিং নিরাপদ ও পরীক্ষিত বলে জানান তিনি।
সম্পূর্ণ
নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অত্যাধুনিক মেশিনে ক্রেনের সাহায্যে সৈকতের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬০
ফুট উঁচুতে এ রেস্টুরেন্টে থাকবে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা। এতে মেঘের রাজ্যে বসে আপ্যায়িত
হওয়ার এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি পাবেন পর্যটকরা। আধুনিক জগতের এমন ব্যতিক্রম আয়োজন পাল্টে
দিবে কক্সবাজারের পর্যটনের আবহ।
দেশের
প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতির এই 'ফ্লাই ডাইনিং' নির্মাণ করেছে আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
‘ইউর ট্রাভেলস লিমিটেড'। এখানে খাবার গ্রহণের সময় বাড়তি আনন্দ উপভোগ করবেন গ্রাহকরা।
সুগন্ধা পয়েন্টের হোটেল সি প্রিন্সেসের পাশের প্লটে দৃষ্টিনন্দনভাবে বসার পর্যাপ্ত স্থান রেখে চালু করা হয়েছে এই 'ফ্লাই ডাইনিং' রেস্তোরাঁ ও কিচেন। রেস্তোরাঁর পশ্চিম পাশের খালি স্থানে বসানো আছে একটি ক্রেন। একটি বিশেষ পাটাতনে ২৪ জন ধারণক্ষমতার চেয়ার, টেবিল ও উপরে ছাতার মতো এক ধরনের ছাদ দিয়ে চারপাশ খোলা রাখা হয়েছে। অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলের সমন্বয়ে তৈরি বিশেষ তার ক্রেনের মাথায় লাগিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে সেই পাটাতনের মাঝখান ও চারপাশে। মাটিতে থাকা কিচেনে পছন্দমতো খাবার অর্ডার করে তা যে কেউ চাইলে ‘উড়ন্ত পাটাতনে' পরিবেশন সুবিধা নিতে পারছেন। পরিবারসহ বিনোদন ও খাওয়ার ব্যবস্থাপনায় থাকছেন দেশের বিখ্যাত রন্ধন শিল্পী টনি খান।
Post a Comment
0 Comments