আজ (১৫জুলাই) শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা করেন। তিনি বলেন ”স্বাস্থ্য প্রটোকল মেনে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হবে। অবশ্যই সিলেবাস হ্রাস করা হবে।”
কোভিড-১৯ এর অবস্থার উন্নতি হলে নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে মাধ্যমিক বিদ্যালয় (এসএসসি)
এবং উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনার কাথা জনান শিক্ষা মন্ত্রী
ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ভার্চুয়াল মিডিয়া কলে মন্ত্রী দিপু মনি বলেছেন, স্বাস্থ্য
প্রোটোকল অনুসরণ করে এবং হ্রাস করা সিলেবাস নিয়ে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।
"আমরা আশা করছি নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষা এবং ডিসেম্বরের
প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করতে পারবো।"
ততদিনে মহামারি পরিস্থিতি উন্নতি না হলে পূর্বের পাবলিক পরীক্ষা বিষয় ম্যাপিংয়ের
ফলাফল বা অ্যাসাইনমেন্টের সংখ্যা বা উভয়কে একত্রিত করে ফলাফল তৈরী করা হবে বলে জানিয়েছেন
দীপু মনি।
তিনি আরও বলেন, ঈদের পরপরই পরীক্ষার ফরম পূরণ করা হবে।”
পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দিপু মনি বলেছিলেন, যে সরকার
গণ-টিকা প্রদান কার্যক্রম আবার শুরু করেছে।
“তদুপরি, আমরা গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে সংক্রমণ নিম্নমুখী হতে দেখেছি।
আমরা আশা করি এটি চলতি বছরের সেই সময়ে আবার কমতে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চ মাস থেকে মহামারী ছড়িয়ে পড়লে দেশের স্কুল ও কলেজ
বন্ধ রয়েছে।
এই বছরের শুরুতে করোনভাইরাস আক্রান্ত সংখ্যা কমে যাওয়ার পরে মন্ত্রণালয় পুনরায়
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তফসিল ঘোষণা করেছিল, কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এটিকে বাতিল
করতে বাধ্য করেছিল।
স্বাভাবিক সময়ে এসএসসি পরীক্ষা প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি এপ্রিল মাসে
অনুষ্ঠিত হত।
গত বছর এসএসসি পরীক্ষা শেষ করতে পারলেও এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে জেএসসি এবং এসএসসিতে প্রাপ্ত গ্রেডের গড় করার মাধ্যমে এইচএসসি ফলাফল প্রকাশিত
হয়েছিল।স্কুল ও কলেজগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করার পরে এবং অ্যাসাইনমেন্ট
মূল্যয়নে ভিত্তিতে পরীক্ষা ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত হয়।
বাংলাদেশ বর্তমনা সময়টি সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ধারন করেছে। দেখা গেছে মাত্র পাঁচ
দিনের মধ্যে এক হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যু ঘটছে করোনা আক্রান্ত হয়ে।
এই পযর্ন্ত, বাংলাদেশে প্রায় ১.০৬ মিলিয়ন পজেটিভ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে,
যার মধ্যে ১৭০৫২ জন মারা গেছে।
Post a Comment
0 Comments