প্রযুক্তি

Type Here to Get Search Results !

৬ষ্ট শ্রেণির ১০ম সপ্তাহের নমুনা উত্তর: শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

১০ম সপ্তাহ নমুনা উত্তর

শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের ১০ম সপ্তাহরে শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ের নমুনা উত্তর নিয়ে হাজির হলাম। 

অ্যাসাইনমেন্ট এর সকল উত্তর নিজের মতো করে লেখা উচিত অন্যতায় অ্যাসাইনমেন্ট বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভানা থাকে। 

প্রথমে অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন এরপর উত্তর দেওয়া হলো।

১০ম সপ্তাহ নমুনা উত্তর

নমুনা উত্তরঃ

"সুস্থ দেহ, সুন্দর মন" অর্থাৎ দেহের সুস্থতার সাথে মনের সম্পর্ক রয়েছে। তাই দেহকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে শুধু দেহ সুগঠিত হয় না সেই সাথে চিত্ত বিনোদন, শৃঙ্খলাবোধ মনোভাব গড়ে ওঠে।

ব্যায়াম কিঃ আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের নিয়মিত নড়াচড়া করাকেই ব্যায়াম বা শরীরচর্চা বলে। নিয়িমিত ব্যায়াম করলে দেহের কাঠামো সুগঠিত হয়। ব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক অবস্থারও উন্নয়ন ঘটে। ভিন্ন কারণে ব্যায়াম করা হয়, যেমন- মাংসপেশী ও সংবহন তন্দ্র সবল করা, ক্রীড়া নৈপুন্য বৃদ্ধি করা, শারীরিক ওজন হ্রাস করা বা রক্ষা করা কিংবা শুধু উপভোগ করা। নিয়মিত ব্যায়াম মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পুনরুদ্ধার হতে সাহায্য করে।

ব্যায়ামের সাথে জীবনের সম্পর্কঃ ব্যায়াম আমাদের শরীর ও জীবনের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। আমাদেরকে দৈনন্দিন অনেক কাজকর্ম করতে হয়। আর কাজের জন্য শারীরিক শক্তির প্রয়োজন। আর ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরে অলসতা দূর হয় এবং শক্তি উৎপন্ন হয়। শারীরিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে আমাদের মনে মানসিক প্রশান্তি অনুভূত হয়। কাজের একঘেয়েমি দূর হল। ফলে আমরা আগের চাইতে বেশি কাজ করতে পারি।

অন্যদিকে ব্যায়াম আমাদেরকে শৃঙ্খল ও নিয়মানুবর্তিতা অর্জনে সাহায্য করে। কারণ ব্যায়ামের একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে এবং কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। সঠিক নিয়ম না মেনে ব্যায়াম করলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। মানসিক প্রশান্তি আমাদের শরীরে ইতিবাচক প্রভাব পেলে। যা শরীরকে ভালো রাখার পূর্ব শর্ত। ব্যায়ামের মাধ্যমে আমরা যে শক্তি পাই তা আমাদের দৈনন্দিন অন্য কাজগুলো সঠিকভাবে করতে সহায়তা করে। কারণ ব্যায়ামের মাধ্যমে আলস্য দূর হয়।

আমার অনুশীলনকৃত ব্যায়ামের তালিকা ও প্রকারঃ আমার শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য আমি নিয়মিত ব্যায়াম অনুশীলন করি। ব্যায়াম আমার দৈনন্দিন রুটিনের মধ্যে একটি। তবে আমি যেসকল ব্যায়াম করে থাকি তার সবগুলোই সাধারণ ব্যায়াম। আমি Free hand exercise পছন্দ করি কারণ এইসকল ব্যায়াম সরঞ্জাম ছাড়া বাড়িতেই করা যায়। নিচে আমি যেসব ব্যায়াম অনুশীলন করি তার একটি তালিকা দেওয়া হল-  

ব্যায়ামের নামপ্রকার
ওয়ার্ম আপসাধারণ ও সরঞ্জামবিহীন ব্যায়াম
জগিংসাধারণ ও সরঞ্জামবিহীন ব্যায়াম
পুশ আপসাধারণ ও সরঞ্জামবিহীন ব্যায়াম
সিট আপসাধারণ ও সরঞ্জামবিহীন ব্যায়াম
স্পট জাম্পসাধারণ ও সরঞ্জামবিহীন ব্যায়াম
হাফ সিটেড এলবোসাধারণ ও সরঞ্জামবিহীন ব্যায়াম
ফ্লেক্সিবিলিটির ব্যায়ামসাধারণ ও সরঞ্জামবিহীন ব্যায়াম

ব্যায়ামের উপকারিতাঃ শারীরিক সুস্থতা বজায় ও শরীরের ওজনের ভারসাম্য রাখার ক্ষেত্রে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এছাড়া শরীরের হাড়ের দৃঢ়তা বজায় রাখা, মাংসপেশীর সবলতা এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গসমূহের স্বাভাবিক চলনক্ষমতা বজায় রাখতে ব্যায়াম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

নিচে ব্যায়ামের কয়েকটি উপকারিতা উল্লেখ্য করা হলঃ

শারীরিক উন্নতিঃ নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের শরীরের অঙ্গের গঠন সুগঠিত করে এবং শরীরে শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করে। মনকে সতেজ রাখে ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হৃদপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ে। সেই সাথে শরীরের রক্ত চলাচল ঠিক থাকে।

একঘেয়েমি দূর করেঃ খেলাধুলাও একপ্রকারের ব্যায়াম। একটানা লেখাপড়া করলে ক্লান্তি ও একঘেয়েমি চলে আসে। তাই লেখাপড়া পাশাপাশি খেলাধুলা করলে একঘেয়েমি ও মানসিক ক্লান্তি দূর হয়।

স্নায়ু ও মাংসপেশির উন্নয়নঃ শৈশবকাল থেকেই শরীর দ্রুত বেড়ে উঠে। তাই এই সময় শরীর বৃদ্ধির সাথে সাথে মানসিক বিকাশের দিকটাও লক্ষ্য রাখা জরুরি। তাই স্নায়ু ও মাংসপেশির সমন্বিত উন্নয়নের জন্য সঠিক নিয়মে হাত, পা ও শরীরের ব্যায়াম একসাথে করতে হবে।

শৃঙ্খলতা অর্জনঃ নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে শুধু শরীরের উন্নতি সাধিত হয় না বরং সেই সাথে সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে উঠে।

সামাজিক গুনাবলি অর্জনঃ আদেশ মেনে চলা, শৃঙ্খলা বজায় রাখা, নিয়ম মেনে চলা, আবেগকে নিয়ন্ত্রন করা, সহযোগিতা করা এইসকল সামাজিক গুনাবলি ব্যায়ামের মাধ্যমে অর্জন করা যায়।

সিদ্ধান্তঃ শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম অপরিহার্য। তবে মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়াম শরীরকে ক্লান্ত ও দুর্বল করে দেয়। তাই পরিমিত ব্যায়াম করা উচিত। তাছাড়া ভরাপেটে ব্যায়াম করা ঠিক নয়। তাই খাওয়ার কমপক্ষে দুই ঘন্টা পর ব্যায়াম করা উচিত। স্বাস্থই সকল সুখের মূল। তাই নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে রাখাটা আবশ্যক।


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.