স্নেহের প্রিয় শিক্ষার্থী ই-ভিশন বিডি'র পক্ষ থেকে শুভেচ্ছ। অ্যাসাইনমেন্ট লেখার মতো বিরক্তিবোধ হয়তো ১০ বছর স্কুলে যাওয়া আসাতেও করোনি। কিছু করার নাই এইটুকু কাজ করতেই হবে।
বন্ধুরা, তোমাদের জন্য আজকের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ৫ম সপ্তাহের ২০২১ সালের ব্যবসায় উদ্যো।
আমরা আমকদের মতো করে লেখতে চেষ্টা করেছি, তোমরা তোমদের মতো করে সাজিয়ে লিখলে সবচেয়ে ভালো। কারন ইতোমধ্যে সরকার বলে দিয়েছে কপি-পেস্ট করা সম্পূর্ণ হারাম।
বিষয়ঃ ব্যবসায় উদ্যোগ
বিষয় কোডঃ ১৪৩
বাংলাদেশের বেকারত্ব নিরসণে আত্মকর্মসংস্থানের ভূমিকা
ক) আত্মকর্মসংস্থানের ধারনা:
নিজস্ব পুঁজি অথবা ঋণ করা স্বল্প সম্পদ, নিজস্ব চিন্তা, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ন্যূনতম ঝুঁকি নিয়ে আত্মপ্রচেষ্টায় জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে।
উদাহরণস্বরুপ বলা যায় নিজের দক্ষতা ও গুণাবলি দ্বারা কেউ যদি নিজেই নিজের কর্মসংস্থান তৈরি করে তবে সেটাই আত্মকর্মসংস্থান। জীবিকা অর্জনের বিভিন্ন পেশার মধ্যে আত্মকর্মসংস্থান একটি জনপ্রিয় পেশা। বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতা, রেডিও ও টেলিভিশন মেরামত, হাঁস-মুরগি পালন, মৌমাছি চাষ ইত্যাদি আত্মকর্মসংস্থানের আওতাভুক্ত।
খ ) বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ও লাভজনক ক্ষেত্রগুলো:
আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ও লাভজনক ক্ষেত্রসমূহ হচ্ছে হস্তচালিত তাঁত, মাদুর বা ম্যাট তৈরি মৃৎশিল্প, বাঁশজাত দ্রব্য প্রস্তুতকরণ, লবণ উৎপাদন, টেইলারিং পােশাক প্রস্তুতকরণ, মাছের জাল তৈরি, কাঠের আসবাব পত্র তৈরি, স্টিলের আসবাবপত্র তৈরি, মাটির বাসন প্রস্তুতকরণ।
এছাড়াও কামারের কাজ সেরিকালচার নৌকা তৈরি মাছ, গােল আলুর ময়দা তৈরি, পাটের ম্যাট তৈরি, আলুর চিপস তৈরি, গৃহস্থালীর দ্রব্যাদি তৈরি, বাইসাইকেল মেরামত, গবাদি পশু ও হাঁসমুরগির খামার, বেতের সামগ্রী তৈরি কাঁচের তৈজসপত্র তৈরি পাট তৈরি ইত্যাদি।
গ) আত্মকর্মসংস্থানের উদ্বুদ্ধকরণে করণীয়:
- ১. শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে হবে এ বলে যে, কোনাে পেশা বা কাজই ছােট ও অপমানের নয়।
- ২. স্ব স্ব এলাকার আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ক্ষেত্রগুলাের তালিকা প্রণয়ন করে বিদ্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদের দেয়ালে প্রচারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
- ৩. স্ব স্ব এলাকার আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে যারা স্বাবলম্বী ও সফল হয়েছে তাদেরকে বিদ্যালয়ে এনে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের জীবনকাহিনী শােনাতে হবে।
- ৪. বিদ্যালয় বা কলেজ থেকে যে সকল শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে কিংবা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসার সুযােগ পায় না তাদেরকে বিভিন্ন উপযুক্ত ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও ঋণদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
- ৫. নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষাক্রমে বৃত্তিমূলক, কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষাকে পর্যাপ্তভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
- ৬. আত্মকর্মসংস্থানকে সামনে রেখে যুব উন্নয়ন ব্যাংক ও শিক্ষা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে সহজ শর্তে ঋণদানের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্পসুদে ঋণদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
ঘ ) আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব:
আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে ব্যক্তির নিজের যেমন কর্মসংস্থান হয়, তেমনি অনেক নতুন কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি হয়। সীমিত চাকুরির বাজারে সকলের কর্মসংস্থানের সুযােগ হয় না। যারা স্বাধীনভাবে কিছু করতে চায় তারা নিজস্ব মেধা ও দক্ষতা কাজে লাগাতে এগিয়ে আসেন এবং আত্মকর্মসংস্থান করে স্বাবলম্বী হন।
তাই আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব দেশের অর্থনীতিতে এবং আত্মকর্মসংস্থান করে স্বাবলম্বী হন। তাই আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব দেশের অর্থনীতিতে অপরিসীম। যারা স্বাধীনভাবে কাজ করে জীবিকা অর্জন করতে চান, তাদের জন্য আত্মকর্মসংস্থান একটি উত্তম পন্থা। কর্মসংস্থানের চাহিদা যে হারে বৃদ্ধি পায় সে হারে কর্মসংস্থানের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় না।
এক্ষেত্রে আত্নকর্মসংস্থানের কোন বিকল্প নাই। আত্মকর্মসংস্থানে সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। আত্মকর্মসংস্থান একটি স্বাধীন পেশা যার জন্য এতে কাজের স্বাধীনতা থাকে। আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস পায়।
Post a Comment
0 Comments