প্রযুক্তি

Type Here to Get Search Results !

অনুচ্ছেদ: বিজয় মেলা

অনুচ্ছেদ: বিজয় মেলা

বাংলা ২য় অনুচ্ছেদ: বিজয় মেলা

বিজয় মেলা

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে। এই বিজয়কে স্বরণীয় করে রাখার জন্য প্রতিবছর ডিসেম্বর মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে। সাধারনত এই মেলা ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই মেলাকে বিজয় মেলা বলে। 

আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর থেকে বিজয় মেলা শুরু হয়ে ৭ দিন স্থায়ী হয়। এই সময় আমাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ রঙ্গিন কাগজ আর বাহারি কাপড় দিয়ে সাজানো হয়। সন্ধ্যায় আলোকসজ্জা করা হয়। এই সময় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীরা পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও কর্ণফুলী এই চারটি দলে ভাগ করে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে। মেলা উপলক্ষ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন দোকান বসায়। সাধারনত ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে খাবার দোকান, জাতীয় পতকা, মানচিত্র এবং বই এর দোকান বেশি দেওয়া হয়। বাইর থেকে যারা দোকান নিয়ে আসে তাদের মধ্যে সাধারণত কসমেটিক জাতীয় দোকান বেশি থাকে।

খাবার দোকানগুলোতে ঘরের তৈরী বিভিন্ন শীতকালীন খাবার বিক্রয় করা হয়। বই এর দোকান গুলোতে বিভিন্ন প্রকারের বই থাকলেও গল্প, কবিতা, উপন্যাস এর বই বেশি বিক্রয় হয়। এই সময় সব চেয়ে বেশি বিক্রয় হয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই।

সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে, দেশাত্ববোধক গান, কবিতা, নৃত্য, অভিনয় ইত্যাদি অন্তভুক্ত থাকে। অনেকে দল বেঁধে মুক্তিযোদ্ধা সাজে এবং মুক্তিযুদ্ধের অভিনয় করে মঞ্চে উপস্থানপন করে। চার দলের জারীগানগুলো সবার নজর কাড়ে। কারণ জারীগান গুলো যেমনি শিক্ষামূলক তেমনি উপস্থাপনকারী শিল্পীরাও তেমন বাহারি পোষাকে সেজে মঞ্চে আসে। এই দিন বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দেয়ালিকা প্রকাশ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান অংশ। মেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ থাকে নাগরদোলা। ছাত্র-ছাত্রীরা নাগরদোল খুব বেশি উপভোগ করে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.