![]() |
ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুক থেকে সংগৃহীত |
বিষে ভরা ২০২০ সাল। মার্চ থেকে বর্তমান পর্যন্ত করোনার নিয়ন্ত্রনে পুরো পৃথিবী। এর মধ্যে বেশ কিছু সেবা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহ এখনো বন্ধ আছে। এর মধ্যেই নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ পেল শিক্ষার্থীরা। জীবনে প্রথম বারের মতো সেই কল্পনার অটোপাশের অভিজ্ঞতা অর্জন করল বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। শৈশবে পরীক্ষা না দিয়ে পাশ করার কথা মনে মনে ভাবেনি এমন শিক্ষার্থী খুব কমই পাওয়া যাবে।
তবে আশার কথা হল, মঙ্গলবার, ২৯/১২/২০২০ এক ভার্চুাল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের জন্য ফেব্রুয়ারিতে স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, আগামী বছরের (২০২১ সালের) জুন মাসে এসএসসি এবং জুলাই ও আগস্ট মাসে এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। এর সাথে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার জন্য আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ইশারা করেছেন মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল- এই সময়কালে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে পড়ানোর উদ্যোগ নেবো, সেই চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি যদি অনুকূলে থাকে ২০২১ সালের জুন নাগাদ এই পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করবো। স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার চেষ্টা করবো। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি যেন নতুন সিলেবাসে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করে পরীক্ষা দিতে পারে।”
ডা. দীপু মনি জানান, “এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত হয়তো ক্লাসরুমে নিয়ে ক্লাস করানো হবে। কাস্টমাইজ সিলেবাস ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জানিয়ে দিতে পারবো। জুলাই-আগস্ট নাগাদ এই পরীক্ষা নেওয়ার আশা প্রকাশ করছি।”
চালতি বছরের (২০২০) ৮ মার্চ প্রথম কভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পর শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এই ছুটি বাড়তে বাড়তে আগমী বছরের জানুয়ারি পযর্ন্ত বলবত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।
Post a Comment
0 Comments