প্রযুক্তি

Type Here to Get Search Results !

২০২১ সালের শীর্ষ ৬টি প্রযুক্তি সম্পর্কে না জানলে পিছিয়ে পড়বেন

বর্তমানে প্রযুক্তি এত দ্রুত গততিে বিকশিত, পরিবর্তন এবং অগ্রগতি করছে যে, একটি সুষম ত্বরণ সৃষ্টি করছে। তবে এটি কেবল টেকনলজি ট্রেন্ডিং এবং র্শীষস্থানীয় প্রযুক্তইি নয়, এই বছর Covid-19 এর প্রার্দুভাবের ফলে আরও অনকে কিছু বদলছে আইটি পশোদারগণ বুঝতে পেরেছে যে ভবষ্যিত যোগাযোগহীন বিশ্বে তাদরে ভূমিকা কি থাকবে। 

২০২০-২১ এর একজন আইটি পেশাদারকে ক্রমাগত শিখতে হবে এবং তাদের গবেষণা ক্রমাগত চালিয়ে যেতে হবে। 

এর অর্থ হল ভবষ্যিতে আপনার চাকুরিকে নিরাপদ করতে কোন দক্ষতাটি আপনার থাকা দরকার, কোন বিষয়টি আপনাকে জানা দরকার এবং কিভাবে ভবিষ্যতের প্রযুক্তরি কাছে আপনি পৌঁছে যাবেন তার উপর নজর রাখা।  বিশ্বব্যাপী মহামারীতে আইটি জনসংখ্যার বেশিরভাগ মানুষ ঘরে বসে কাজ করেছে। আপনি যদি ঘরে বসে চাকুরি করতে চান চান তবে এখানে র্শীষ ৬টি নতুন প্রযুক্তরি ট্রেন্ডকে আপনাদরে সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হল যা আপানকে ২০২১ সালে কাজে দেবে এবং আপনার চাকুরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। 

১. Artificial Intelligence (AI) and Machine Learning 

যদিও  ‍কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিগত দশকে ইতোমধ্যে প্রচুর গুঞ্জন পেয়েছে, তবুও এটি একটি অন্যতম নতুন প্রযুক্তি ট্রেন্ড। কারণ এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে উল্লখেযোগ্য প্রভাব ফেলে।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইতোমধ্যে Image and speech recognition, Navigation apps, Smartphone personal assistants, Ride-sharing apps সহ আরো অনেক কিছুর শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পরিচিতি পেয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের অন্তঃ সংযোগ এবং অন্তদৃষ্টি নির্ধারনের জন্য ইন্টারঅ্যাকশনগুলি বিশ্লেষণ করতে, হাসপাতালের মতো পরিসেবাগুলির চাহদিা র্পূবাভাস দেওয়ার জন্য, র্কতৃপক্ষকে সম্পদ ব্যবহাররে বিষয়ে আরও ভাল সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এবং তথ্য বিশ্লেষণ করে গ্রাহকের আচরণরে পরিবর্তীত নির্দশন গুলো সনাক্ত করতে ব্যাপক হারে ব্যবহাহৃত হবে। 

বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাজার ব্যয় ২০২১ সালে ৫৭ বলিয়িন ডলার অতক্রিম করে ২০২৫ সালের মধ্যে ১৯০ বলিয়িন র্মাকনি ডলারে উন্নতি হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খাত সমূহ যেমন: Development, Programming, Testing, Support and maintenance ইত্যাদি ডানা বিস্তার করার সাথে সাথে অনেক নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হবে। 

অন্যদিকে এআই এবং ML(machine learning engineer) প্রতি বছর সর্বাধিক বেতনের অনেক চাকুরীর অফার দেয় যা বাৎসরকি হিসেবে $১,২৫,০০০ (AI) থেকে $১৪৫,০০০ (ML)  এর উপরে। শুধু ডাক্তার, উকলি হবার কথা না ভেবে এ দিকটাও অবশ্যই ভেবে দেখা উচিত।  

বর্তমানে (AI) এর উপশাখা ML(machine learning engineer) সব ধরনরে শিল্পে মোতায়েন করা হচ্ছে যাতে দক্ষ ও কর্মঠ পেশাদার প্রযুক্তিবিদের বিশাল চাহিদা তৈরী হয়। Forrester ভবষ্যিদ্বণী করছেে যে এআই, এমএল ও অটোমেশন ২০২৫ সালের মধ্যে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ৯ শতাংশ চাকরির ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে। যেখানে থাকবে পেশাদার রোবট র্পযবেক্ষক, ডেটা বিজ্ঞানী, অটোমেশন বিশেষজ্ঞ এবং কন্টেন্ট কিউরেটর সহ আরো অনেক।

২.  Robotic Process Automation (RPA)

এআই বা এমএল এর মতো রোবটিক্স প্রসেস অটোমেশন হল আরেকটি প্রযুক্তি যা স্বংক্রিয়ভাবে কাজ করে। RPA হল স্বংক্রিয় ব্যবসায় প্রক্রিয়া করা যেমন: অ্যাপলিকেশন বিশ্লেষণ ও ব্যাখা করা, লেনদেন প্রক্রিয়া করা, ডেটা নিয়ে কাজ করা এমন কি RPAর্বতমানে ইমেইল এর জবাবও দিয়ে থাকে। RPA সাধারনত মানুষের করা কাজ ‍গুলো পুনারাবৃত্তি করে থাকে। 


Forrester Research অনুমান করছেে যে RPA অটোমেশন বিশ্বব্যাপী ২৩০ মিলিয়ন বা প্রায় ৯ শতাংশ বা তারও বেশি দক্ষ কর্মী জীবকিা হারানোর হুমকতিে পড়বে। তবুও RPA অটোমেশন পুরাতন কর্মের হুমকি সৃষ্টি করার সাথে সাথে নতুন নতুন র্কম সৃষ্টি করছে।

ম্যাককিন্সী দেখেছেন যে প্রায় ৫ শতাংশ কাজ স্বংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হতে পারে কিন্তু আরো প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ অর্ধেকটা স্বংক্রিয়ভাবে করা যায়।

আপনি একজন আইটি পেশাদার হয়ে ভবিষ্যতের দিখে দেখুন এবং বুঝতে চেষ্টা করুন নতুন প্রযুক্তি আপনার জন্য কি কি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে? RPA ক্যারিয়ার গঠনের জন্য অনেক সুযোগ অফার করে যেমন: developer, project manager, business analyst, solution architect and consultant এবং এই কাজ গুলো আপনাকে ভালই বেতন দিতে সহায়তা করবে। যেমন: একজন RPA developer  প্রতি বছর ৭,২৩৯ মার্কিন ডলার আয় করতে পারেন।

৩. Edge Computing

ইতোর্পূবে দেখা নতুন প্রযুক্তি ট্রেন্ড গুলাের মতো ক্লাউড কম্পিউটিং মূলধারার প্রযুক্তিতে পরিনত হয়েছে। বাজারে AWS (Amazon Web Services), Microsoft Azure and Google Cloud Platform এর মতো প্রতিষ্ঠান গুলো প্রধান প্রতিযোগী হিসেবে আধিপত্য বিস্তার করছে। অধকি সংখ্যক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ক্লাউড কম্পিউটিং  শলিউশনের দিকে ধাবিত হওয়ার কারনে ক্লাউড কম্পিউটিং ক্রমাগত বাড়ছে। কিন্তু র্বতমানে ক্লাউড কম্পিউটিং তেমন একটি নতুন প্রযুক্তি নয়। এর পরিবর্তে Edge Computing  হল অধিকতর  নতুন। 




Edge Computing প্রক্রয়িা আর ক্লাউড কম্পিউটিং প্রক্রয়িার মধ্যে র্পাথক্য আছে। ক্লাউড কম্পিউটিং সদ্ধিান্ত গ্রহণে সময় বিলম্বিত করে কখনো কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডার থেকে তথ্য রিলে করতে ২ সেকেন্ড পর্যন্ত সময় লাগে। সংকেত বিলম্বিত হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীর ক্ষতি হতে পারে। তাই র্বতমানে ক্লাউড কম্পিউটিং প্রক্রয়িার এর পরর্বিতে Edge Computing বেশি পছন্দনীয়।

ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবা বৃদ্ধির সাথে সাথে  Edge Computing-ও বৃদ্ধি পাবে। ২০২২ সাল নাগাদ বৈশ্বীক  Edge Computing মার্কেট ৬.৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা যায়। এই নতুন প্রযুক্তি যে কর্মক্ষেত্র তৈরী করবে তার সাথে খাপ খাওয়াতে আমাদের এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। নতুবা আমরা চিরকৃষক জাতী বা বিসিএস পাগলা হয়ে থেকে যাব।

৪. Quantum Computing

পরবর্তী উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তি হলো কােয়ান্টাম কম্পিউটিং। এটি এমন একটি বিশেষ ধরনরে কম্পিউটিং যা সুপারপজিশন এবং কোয়ান্টাম জড়িয়ে যাওয়ার মতো কোয়ান্টাম ঘটনার সুবধিা গ্রহণ করে।  এই বিস্ময়কর প্রযুক্তি করোনা ভাইরাসের মতো জীবনঘাতী ভাইরাসরে ভেকসিন তৈরীর গবেষণা কাজে, তথ্য অনুসন্ধানে, নিরীক্ষণে ও বিশ্লেষণ করার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।  কােয়ান্টাম কম্পিউটিং ব্যবহারের আরো কিছু খাত হলো  ব্যাংকিং এন্ড ফিন্যান্সের উৎস খুজতে, ক্রেডিট ঝুঁকি কমাতে, উচ্চ ফ্রিকুয়েন্সির বানিজ্যের জন্য এবং প্রতারনা এড়াতেও ব্যবহার করা সুবিধাজনক। 


কোয়ান্টাম কম্পিউটার এখন সচারাচর কম্পিউটারের চেয়ে বহুগুণ দ্রুত ও শক্তিশালী। বর্তমানে অনেক কোম্পানি যেমন: Splunk, Honeywell, Microsoft, AWS, Google-এ নতুনত্ব আনার জন্য জোর প্রচষ্টো চালাচ্ছে। 

২০২৯ সালরে মধ্যে বৈশ্বিক কোয়ান্টাম কম্পিউটিং মার্কেটের উর্পাজন ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধরনা করা হচ্ছে।  

এই নতুন ট্রেডিং প্রযুক্তিতে আপনার একটি পদক্ষপে রাখতে আপনার কোয়ান্টাম মেকানিক্স, লিনীয়ার বীজগণিত, সম্ভাব্যতা, তথ্য ও তত্ত্ব এবং মেশিন লার্নিং-এর উপর অভিজ্ঞতা থাকা জরুরী। 

৫. Virtual Reality and Augmented Reality

পরবর্তী ব্যতিক্রমী প্রযুক্তি হল ভার্চুয়াল রিয়ালিটি(VR), অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR)  এবং এক্সটেন্ডেট রিয়েলিটি (ER)। VR হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে বাস্তব নয়, কিন্তু বাস্তবের ধারণা সৃষ্টি করতে সক্ষম এমন কল্পনানির্ভর বিষয় অনুভব করার ত্রিমাত্রিক অবস্থা উপস্থাপন। এটি এক ধরনের কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা যাতে প্রতিচ্ছবি নির্মাণ করে(Modelling) ও ছদ্মায়ন (Simulation) পদ্ধতি প্রয়োগ করার মাধ্যমে মানুষ কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য পরিবেশের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে বা উপলব্ধি করতে পারে। এক্ষেত্রে অনেক সময় অপ্রকৃত বাস্তবতা থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় ছদ্মায়িত পরিবেশ বাস্তব থেকে আলাদা হতে পারে।  যেমন: অপ্রকৃত বাস্তবতা নির্ভর কম্পিউটার খেলা সমুহ। 


যদিও এই প্রযুক্তি ট্রেন্ডিং প্রাথমকিভাবে এই পযর্ন্ত গেমিং এর জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে এটি ভার্চূয়ালশিপের মতো ইউএস নেভি, সেনাবাহিনী এবং কোস্টর্গাড শিপ ক্যাপ্টনদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত একটি সিমুলেশন সফ্টওয়্যার হিসেবে কাজে লাগানো হয়। 

যদিও এর ব্যবহারিক ধীক খুব বেশি নেই তবুও ২০২১ সালে আমরা আশা করতে পারি যে, এই প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে আরো সুসংহত করতে পারবে। যেমন:  প্রশক্ষিণ, বিনোদন, শিক্ষা, বাজারজাতকরণ এবং প্রর্দশণীর  কাজে ব্যবহার করতে পারবে। এমন কি ডাক্তারদরে সার্জরির কাজ শেখানোর প্রশক্ষিণওে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

মজার বিষয় হল ২০১৯ সালে ১৪ মিলিয়ন VR এবং AR ডিভাইস বিক্রয় হয়েছিল। বৈশ্বিক VR এবং AR ডিভাইস বাজার আশা করছে ২০২২ সাল নাগাদ এটি ২০৯.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে।

৬. Cyber Security

ইন্টারনেটে হ্যাকিং, ম্যালওয়ার অ্যাটাক থেকে বাঁচতে যেসব ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয় সেগুলোই সাইবার সিকিউরিটি। ওয়বেসাইট বা সিস্টেমে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে সাইবার সিকিউরিটি প্রয়োজন। যখন কেউ আপনার কম্পিউটার বা র্স্মাটফোনকে বাইরে থেকে অ্যাক্সেস নেওয়ার চেষ্টা করবে তবে তা হ্যাকিং এর আওতায় পরে।


২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার (৬৮০ কোটি টাকা) চুরি হয়। চলতি মাসের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো এটিএম বোথ গুলো রাত ১১টার পর থেকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল।

যেহেতু সাইবার ক্রাইম দিন দিন বাড়ছে তাই প্রপেশনাল সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের জবও দিন দিন বাড়ছে। প্রয়োজনের পরিসংখ্যান অনুসারে আগমী ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার শুধুমাত্র সাইবার সিকিউরিটির কাজে ব্যয় করা হবে। 

আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে, কাজের ক্ষেত্রটি চ্যালঞ্জেরে হলেও এটি আপনার জন্য ৬ ট্রিলিয়ন খরচ করতে রাজি আছে। একজন নৈতিক হ্যাকার থেকে শুরু করে সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার, চিফ সিকিউরিটি অফিসার র্পযন্ত পদে উন্নতি হতে পারেন।

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.