প্রযুক্তি

Type Here to Get Search Results !

SSC 2022 এর ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান | তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি


প্রিয় এসএসসি ২০২২ পরীক্ষার্থী বন্ধু। পই পই (😄) করে চলে যাচ্ছে সময়। দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছো তোমাদের লক্ষ্যের দিকে। তো কেমন চলছে তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট যুদ্ধ? তোমাদের সাথে সামিল হতে ই-ভিশন বিডি সবসময় আজগ্রত। আজ তোমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান নিয়ে লিখতে বসলাম। তবে এবিষয়ে আরফাত একাডেমিকে ক্রেডিট দিতেই হয়। তোমাদের জন্য অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। Computer written assignment always published in evisionbd.com

বিষয়ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি 

বিষয় কোডঃ ১৫৪

৭ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
কভার পেইজ ডিজাইন 
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে 
অ্যাসাইনমেন্ট ও মূল্যায়ন 

অ্যাসাইনমেন্ট নংঃ ০১

অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনামঃ অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা, আমাদের জীবনকে করেছে গতিময়” বিষয়ক প্রতিবেদন। 

শিক্ষার্থীর নামঃ 

শ্রেণিঃ রোল নংঃ 

শাখাঃ

বিষয়ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি 

বিষয় কোডঃ ১৫৪

বিদ্যালয়ঃ নিজের বিদ্যালয় 

তারিখঃ জমাদান তারিখ


উত্তর নিম্নরূপে লিখবে-

তারিখ: ১৪ জুলাই ২০২১ 

বরাবর, 

প্রধান শিক্ষক 

এবিসি উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা। 

বিষয়: "অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা, আমাদের জীবনকে করেছে গতিময়” বিষয়ক প্রতিবেদন। 

সূত্র: স্মারক নং- এ.বি.সি.উ.বি/২৫/২০২১। 


জনাব, 

আপনার আদেশে আদিষ্ট হয়ে 'অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা, আমাদের জীবনকে করেছে গতিময়' সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন আপনার বরাবর উপস্থাপন করছি। 


"অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা, আমাদের জীবনকে করেছে গতিময়” 

বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে যন্ত্র এবং অনলাইন সেবা।আমাদের জীবনকে করেছে সহজ ও স্বাচ্ছন্দময়। আমাদের জীবনকে করেছে গতিময়। অনলাইন সেবা গ্রহণ করে ঘরে বসেই আমরা নিমিষেই প্রতিদিনের কাজ শেষ করতে পারি। বিষয়টি নিচে বিস্তর আলোচনা করা হলে-

অনলাইনভিত্তিক সেবা: ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবাগ্রহীতা নিজ বাড়িতে বসেই মোবাইল ফোনে বা ইন্টারনেটে যেসব সেবা পেয়ে থাকে, এককথায় তাকেই অনলাইনভিত্তিক সেবা বলে। 

ধরা যাক, করেনার এই দুর্যোগে চারদিকে লকডাউন চলছে। ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিস যেমন- চাল, ডাল, পোশাক, জরুরি ঔষধ কিংবা অন্য যে কোনো দ্রব্যের প্রয়োজন হয়ে পড়লো। এই অবস্থায় এসব জিনিস যদি আমরা ঘরে বসে পেতে চাই তাহলে অবশ্যই কোনো একটি পদ্ধতিতে পেতে হবে। আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে এইসব জরুরি জিনিসগুলো পাওয়ার জন্য অর্ডার করতে পারি। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোও দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের অর্ডার করা জিনিসগুলো আমাদের হাতে পৌঁছে দেয় । বিনিময়ে জিনিসগুলোর মূল্য এবং পরিবহন ফি প্রদান করতে হয়। এই পদ্ধতিকেই আমরা অনলাইনভিত্তিক সেবা বলতে পারি। 


এ পদ্ধতিতে আরও যেসব সেবা পেতে পারি তার মধ্যে রয়েছে-

  • ঘরে বসেই পরীক্ষার রেজাল্ট জানা যায়। 
  • বাস কিংবা ট্রেনের টিকিট কাটা যায়। 
  • বিদ্যুৎ, গ্যাস কিংবা পানির বিল দেওয়া যায়। 
  • সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়। 

এই সেবার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- স্বল্প খরচ, স্বল্প সময় এবং হয়রানিমুক্ত সেবা। 


ই-গভর্ন্যান্স- এর গুরুত্ব 

ইংরেজি Electronic governance বা e-governance (ই-গভর্ন্যান্স) বলতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি সেবা, তথ্যের আদান-প্রদান, যোগাযোগমূলক লেনদেন, সরকার থেকে নাগরিক সেবা, সরকার থেকে ব্যবসা সেবা, সরকার থেকে সরকার সেবা, সরকার থেকে চাকুরীজীবী সেবা ইত্যাদিকে বোঝায়। 


মোট কথা, শাসন ব্যবস্থায় ও প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগই হচ্ছে ই-গভন্যান্স। এ ব্যবস্থায় সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। নাগরিকের হয়রানি ও বিড়ম্বনা কম হয়। সরকারি সেবাদান প্রক্রিয়াগুলি সহজে অনুসরণ করা যায়। 


ই-গভর্ন্যালের ৪ টি গুরুত্ব নিচে উল্লেখ করা হলো 

শিক্ষাক্ষেত্রে: শিক্ষাক্ষেত্রে ই-গভর্ন্যান্সের উদাহরন হলো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আগে সরাসরি প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হতে হতো। কিন্তু এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আবেদন করার সুবিধা পাওয়া যায়। ফলে, ভর্তিইচ্ছুদের ভর্তির জন্য আবেদন ফরম জোগাড় ও জমা দেওয়ার জন্য শহর থেকে শহরে ঘুরতে হয়। 

পরীক্ষার ফলাফল: আগে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল যেমন- এসএসসি কিংবা এইচএসসির ফলাফল সংগ্রহ করা ছিল রীতিমত বিড়ম্বনার ব্যাপার। বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারি ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে এটি ছিল কষ্টদায়ক। এমনকি ফলাফল প্রকাশের পর প্রায় সাত দিন লেগে যেত ফল হাতে পাওয়ার জন্য। কিন্তু বর্তমানে ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট এবং মােবাইল ফোনে এসএমএসের সাহায্যে তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল পাওয়া যায়। 

সরকারি সেবা: জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সকল সেবা স্বল্প সময়ে, কম খরচে এবং ঝামেলাবিহীনভাবে পাওয়ার চালু হয়েছে জেলা ই-সেবা কেন্দ্র। এর ফলে আগের ২/৩ সপ্তাহের সেবা এখন মাত্র ২/৫ দিনে পাওয়া যাচ্ছে। তথ্যের ডিজিটালকরণের ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময় কম লাগছে। সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন দলিল, পর্চা প্রভৃতির নকল প্রদানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সক্ষমতাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। 

নাগরিক সেবা: নাগরিক যন্ত্রণার আর একটি উদাহরণ হলো পরিসেবাসমূহের বিল পরিশোধ। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ইত্যাদির বিল পরিশােধের গতানুগতিক পদ্ধতি খুবই সময়সাপেক্ষ এবং যন্ত্রণাদায়ক। কিন্তু বর্তমানে মোবাইল ফোন কিংবা অনলাইনে এই বিলসমূহ সহজেই পরিশোধ করা যায়। ই-গভন্যান্সের মূল বিষয় হলাে নাগরিকের জীবনমান উন্নত করা এবং হয়রানিমুক্ত করা। ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে কোনো কোনো কার্যক্রম ৩৬৫ দিনের ২৪ ঘন্টা করা সম্ভব। যেমন- ATM সেবা, Mobile ব্যাংকিং, তথ্য সেবা ইত্যাদি। ফলে নাগরিকরা নিজেদের সুবিধাজনক সময়ে সেবা গ্রহণ করতে পারে। 


পরিবারের সদস্যের ই-সেবা গ্রহণের সুযোগসমূহ: 

আমাদের দেশে বর্তমানে প্রচলিত উল্লেখযোগ্য সেবাগুলো হলো- পাঠ্যপুস্তকের ডিজিটাল সংস্করণ, ই-পূর্জি, ই-পর্চা, ই-টিকেট, টেলিমেডিসিন, অনলাইন আয়কর হিসাব করার ক্যালকুলেটর ইত্যাদি। নিম্নে কয়েকটি অনলাইনভিত্তিক সেবা পদ্ধতির আলোচনা করা হলো যার মাধ্যমে আমাদের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সুবিধা পেতে পারে। যেমন: 

১. টেলিমেডিসিন: টেলিমেডিসিন প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের দেশের নাগরিকগণ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত চিকিত্সকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য পরামর্শ নিতে পারছেন। এছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সিং এর সাহায্যে রোগীরা দূরে অবস্থানরত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে কয়েকটি বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং কয়েকটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু আছে। 

২. ই-পৰ্চা সেবা: বর্তমানে দেশের সকল জমির রেকর্ডের অনুলিপি অনলাইনে সংগ্রহ করা যায়। এটিকে ই-পর্চা বলা হয়। আগে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বড় বড় রেকর্ড বই থেকে প্রচুর সময় ব্যয় করে এসব তথ্য সংগ্রহ করতে হতো। বর্তমানে দেশ-বিদেশের যেকোনাে স্থান থেকেই ই-পর্চার সেবা থেকে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে জমির সব তথ্য সংগ্রহ করা যায়।

৩. ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম: বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেমের মাধ্যমে দেশের যে কোনো এলাকায় দ্রুত, নিরাপদে এবং কম খরচে টাকা পাঠানো যায়। ১ মিনিটের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাঠানো যায়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এই সেবা পাওয়া যায়। 

৪. রেলওয়ের ই-টিকেটিং এবং মোবাইল টিকেটিং: বাংলাদেশ রেলওয়ের বেশ কিছু আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট এখন অনলাইনে সংগ্রহ করা যায়। ফলে, নিজের সুবিধামতো সময়ে রেলস্টেশনে না গিয়েও নির্দিষ্ট গন্তব্যের টিকেট সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। মোবাইল ফোন বা অনলাইনে টিকেট সংগ্রহ করা হলে ট্রেন ছাড়ার অল্প সময় পূর্বে যাত্রীকে স্টেশনে যেতে হয় এবং অনলাইনে প্রাপ্ত গোপন নম্বর প্রদর্শন করে সেখানে নির্ধারিত কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করে নিতে হয়। 


কোভিডকালে অনলাইনসেবা নিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার উপায়: 

করোনাকালে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। করোনার শুরুতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে । শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত। দীর্ঘদিন পড়াশোনা থেকে দূরে থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে হতাশা। মোট কথা কোভিড -১৯ এর কারণে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। 


কোভিডকালে অনলাইনের সেবা নিয়ে যেভাবে আমার পড়ালেখা চলছে: 

যেহেতু কোভিড সংক্রমণের কারনে স্কুল কিংবা বাসায় শিক্ষকের সুবিধা পাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে অর্থাৎ ই-লার্নিং এর মাধ্যমে আমার শিক্ষা কার্যক্রম সচল রয়েছে। ই-লার্নিং হচ্ছে ইলেকট্রনিক লার্নিং বা অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষত ইন্টারনেট ব্যবহার করে কম্পিউটার, মােবাইল ফোন, টেলিভিশন, ভিডিও কনফারেন্সিং, ওয়েবসাইট, ই-মেইল, এপ্লিকেশন সফটওয়্যার ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী একে অপর থেকে দূরে থেকেও শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার যে পদ্ধতি তাই হলো ই-লার্নিং। 

করোনাকালে আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ই-লার্নিং এর মাধ্যমে শিক্ষাদান করে এসেছে। ই-লার্নিং এর দ্বারা আমরা আমাদের শিক্ষকদের সহায়তা পেয়েছি যা আমাদের পড়াশোনার গতি সচল রাখতে অনেকটা সাহায্য করেছে। আমাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পাশাপাশি অন্য অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের সহায়তাও পেয়েছি অনলাইনে। শিক্ষাভিত্তিক বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং ওয়েবপোর্টাল থেকেও আমি প্রয়োজনমতো তথ্য সংগ্রহ করে আমার পড়াশুনোনা সচল রাখার চেষ্টা করছি। 

তাছাড়া সরকার সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমেও অনলাইন শিক্ষা সচল রাখতে সহায়তা করছে। আমাদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন ভার্চুয়াল শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত থেকে তাদের পড়াশােনা অব্যাহত রেখেছে। 


প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা: মোঃ হাসান, এসএসসি পরীক্ষার্থী, ২০২২, এবিসি উচ্চ বিদ্যালয়।

প্রতিবেদন তৈরির তারিখ: ২৭ আগষ্ট, ২০২১

প্রতিবেদন জমাদান তারিখ: ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১।



তথ্য সূত্র: আরফাত একাডেমি 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.