২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফর্ম পূরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। নিচে ই-ভিশন বিডি’র পাঠকগণের সুবিধার্থে জিজ্ঞপ্তিটি তুলে ধরা হলো-
এইচএসসি পরীক্ষা-২০২১ এর ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি
স্মারক
নম্বর ১৭৮/উ:মা:পরী:/৭৪ ( অংশ -১ ) / ৮৩৭ তারিখ : ৩১/০৭/২০২১ খ্রি :
এতদ্বারা
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা এর আওতাধীন উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল
প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ অতিমারীর
কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে বসে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ও পরীক্ষার
ফি সম্পূর্ণরূপে অনলাইনে প্রদান করতে হবে। কোন অবস্থাতেই পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবককে
প্রতিষ্ঠানে স্ব-শরীরে আসতে বলা যাবে না, প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা এর অধীনে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত উচ্চমাধ্যমিক
সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার Online এ ফরম পূরণ, প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করার নিয়মাবলি
ও তারিখ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
১। (ক) এইচএসসি পরীক্ষা ২০১১ উপলক্ষ্যে কোন নির্বাচনী
পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না এবং এ সংক্রান্ত কোন ফি আদায় করা যাবে না।
(খ) কেবল বৈধ রেজিস্ট্রেশনধারী
শিক্ষার্থীগণ আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবে। কোন পরীক্ষার্থী তার রেজিস্ট্রেশন বহির্ভূত
কোন বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে উক্ত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষা কোনরূপ
যোগাযোগ ছাড়াই বাতিল করা হবে।
(গ) নিয়মিত, অনিয়মিত, আংশিক
বিষয়ে অকৃতকার্য, শুধু আবশ্যিক বিষয়ে অকৃতকার্য, প্রাইভেট পরীক্ষার্থী, জিপিএ উন্নয়ন
পরীক্ষার্থী অর্থাৎ সকল ধরনের পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই ফরম পূরণ করতে হবে। ফরম পুরণ ব্যতিত
পরীক্ষার্থীর ফলাফল প্রকাশের সুযোগ নেই।
(ঘ) পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবক
এ বছর সোনালী ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপ সোনালী ই-সেবা (Sonali eSheba) এর মাধ্যমে ঘরে
বসেই বোর্ড ফি, কেন্দ্র ফি এবং প্রতিষ্ঠানের পাওনা পরিশোধ করবে এবং পরীক্ষার ফি পরিশোধের
মাধ্যম হিসেবে Nagad, bKash, Rocket, Upay, Sonali eWallet ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে।
ফি পরিশোধ করার বিস্তারিত বিবরণ ও নির্দেশিকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে থাকবে। সোনালী
ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফিনান্সশিয়াল সার্ভিস (MFS) প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যেমন-
Nagad, bKash, Rocket, Upay ফি পরিশোধ সংক্রান্ত নিয়মাবলী বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে
প্রচার করবে।
২
। Online এ শিক্ষার্থীদের সম্ভাব্য তালিকা (Probable List) প্রদর্শন: শিক্ষার্থীদের
তথ্য সম্বলিত সম্ভাব্য তালিকা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.dhakaeducationboard.gov.bd)
এ ১১/০৮/২০২১ তারিখে প্রকাশ করা হবে নিম্নবর্ণিত প্রক্রিয়ায় উক্ত সম্ভাব্য তালিকা
হতে ১২/০৮/২০২১ থেকে ২৫/০৮/২০২১ তারিখের মধ্যে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনলাইনে পরীক্ষার্থী
নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে এবং পরীক্ষার্থী কর্তৃক ৩০/০৮/২০১১ তারিখের মধ্যে পরীক্ষার
ফি প্রদান করতে হবে।
৩।
প্রতিষ্ঠানের করণীয়:
ক) প্রতিষ্ঠানসমূহ ঢাকা বোর্ডের
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে OEMS/eFF এ ক্লিক করে EIIN ও Password দিয়ে Login করে
Probable List এ যেতে হবে এবং তালিকা Print করে হার্ডকপিতে লালকালি ব্যবহার করে টিক
চিহ্ন দিয়ে পরীক্ষার্থী নির্ধারণ করতে হবে।
খ) প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পাওনা
এবং মোবাইল নম্বর লেখার জন্য খালি ঘরে সঠিকভাবে হিসাব-নিকাশ করে নির্বাচিত প্রত্যেক
পরীক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পাওনা (পাওনা না থাকলে '০' শূন্য টাকা) লিখতে হবে।
সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবকের সচল মোবাইল নম্বর নিশ্চিত হয়ে সঠিকভাবে লিখতে
হবে। বকেয়া পাওনা প্রদান, মোবাইল নম্বর সংগ্রহ বা অন্য কোন কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানার
স্বার্থে পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবককে স্বশরীরে প্রতিষ্ঠানে আসতে বলা যাবে না।
(গ) প্রয়োজনে EIIN ও
Password দিয়ে পুনরায় Login করে উক্ত হার্ডকপি (মুদ্রণকৃত Probable List) তে টিক
চিহ্নিত পরীক্ষার্থীর তথ্য কম্পিউটারে প্রদর্শনকৃত Probable List এর সাথে মিলিয়ে পরীক্ষার্থী
নির্বাচন (Select) করতে হবে।
(ঘ) ফরম পূরণ প্যানেলে সংশ্লিষ্ট
পরীক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠানের মোট বকেয়া পাওনা এন্ট্রি করতে হবে (বকেয়া পাওনা না থাকলে
'০’ টাকা এন্ট্রি করতে হবে) এবং পরীক্ষার্থীর অভিভাবকের সচল মোবাইল নম্বর সঠিকভাবে
এন্ট্রি করতে হবে। উল্লেখ্য, বোর্ড ফি ও কেন্দ্র ফি প্রদর্শন করাই থাকবে ফলে বোর্ড
ফি ও কেন্দ্র ফি এন্ট্রি করার প্রয়োজন নেই।
(ঙ) বর্ণিত নিয়মে সকল পরীক্ষার্থীর
প্রতিষ্ঠানের পাওনা ও সচল মোবাইল নম্বর এন্ট্রি করার পর Temporary List Print করে
সঠিকভাবে যাচাই করার পর প্রয়োজন হলে প্যানেল থেকে Select/UnSelect করা যাবে এবং প্রতিষ্ঠানের
পাওনা ও মোবাইল নম্বর এ পর্যায়ে সংশোধন করা যাবে।
(চ) সঠিকভাবে সংশোধন করার
পর Send SMS বাটনে Click করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচিত (Selected) পরীক্ষার্থীদের
এন্ট্রিকৃত মোবাইল নম্বরগুলোতে SMS চলে যাবে। উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠান যে সকল পরীক্ষার্থীকে
ফরম পূরণের জন্য নির্বাচিত করবে শুধু সে সকল পরীক্ষার্থীই ফরম পূরণের জন্য ফি জমা দিতে
পারবে।
(ছ) প্রতিষ্ঠানের পাওনা বা
মোবাইল নম্বর এন্ট্রিতে ভুল ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী ফি পেমেন্ট না করা পর্যন্ত
EDIT বাটনে Click করে প্রতিষ্ঠানের পাওনা বা মোবাইল নম্বর সংশোধন করা যাবে। সেক্ষেত্রে
সংশোধন করার পর অবশ্যই পুনরায় Send SMS বাটনে Click করতে হবে। কোন পরীক্ষার্থী পেমেন্ট
শেষ করলে আর সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।
(জ) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে
কোন পরীক্ষার্থী ফি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে তার ফরম পূরণ সম্পন্ন হয়নি বলে গণ্য হবে।
তবে যে সকল পরীক্ষার্থী পেমেন্ট নিশ্চিত করেছে তাদের নামের পাশে প্রতিষ্ঠান 'PAID'
দেখতে পাবে অন্যগুলো Pending দেখাবে। প্রতিষ্ঠান প্রয়ােজনে “Unpaid Student List"
বাটনে Click করে ফরম পূরণের নির্ধারিত শেষ তারিখের পূর্বে যে সকল পরীক্ষার্থী পেমেন্ট
করে নাই তা দেখতে পাবে। প্রয়োজনে যারা পেমেন্ট করে নাই তাদের সাথে ফোনের মাধ্যমে
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ করে ফরম পূরণ সম্পন্ন করবে।
(ঝ) এ পর্যায়ে নির্ধারিত
সময়ের মধ্যে সকল পেমেন্ট হয়েছে কিনা প্রতিষ্ঠান তা নিশ্চিত করবে। ফি পরিশোধ করার
নির্ধারিত তারিখের পর ফরম পূরণ কার্যক্রম শেষ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে “Final
Candidate List Print" বাটনে Click করে চূড়ান্ত তালিকা প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করতে
হবে। চূড়ান্ত তালিকায় পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর নেয়ার প্রয়োজন নেই।
(ঞ) প্রয়োজন হলে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্য থেকে ফরম পূরণের কাজ
একইভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।
৪।
পরীক্ষার্থীর করণীয়:
SMS এর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর নাম, এইচএসসি'র
রেজিস্ট্রেশন নম্বর, এসএসসি (SSC) রোল, বোর্ড ফি, কেন্দ্র ফি ও প্রতিষ্ঠানের পাওনাসহ
সর্বমোট ফি আলাদা আলাদাভাবে জানতে পারবে এবং পরীক্ষার ফি পরিশোধের জন্য একাধিক পদ্ধতিও
দেখতে পাবে।
পরীক্ষার ফি পরিশোধের পদ্ধতি:
(ক) SMS এ প্রাপ্ত LINK ব্যবহার করে অথবা
সোনালী ব্যাংকের সোনালী ই-সেবা (Sonali eSheba) অ্যাপ ব্যবহার করে সোনালী সেবা পেমেন্ট
গেটওয়ের মাধ্যমে পরীক্ষার সর্বমোট ফি পরিশোধ করতে পারবে। এছাড়া বোর্ডের ওয়েবসাইটের
Student Panel থেকেও সোনালী সেবা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে পরীক্ষার সর্বমোট ফি পরিশোধ
করতে পারবে।
(খ) উক্ত তিনটি পদ্ধতিতেই ঘরে বসে সোনালী
ব্যাংকের সোনালী ই-সেবা (Sonali eSheba) অ্যাপ ব্যবহার করে Nagad, bKash, Rocket,
Upay, Sonali eWallet ইত্যাদি যে কোন একটির মাধ্যমে পরীক্ষার ফি প্রদান করতে পারবে।
তাছাড়া যে কোন Visa, Master Card, American Express, Dbbl Nexus ব্যবহার করেও পরীক্ষার
ফি প্রদান করা যাবে। এছাড়াও সোনালী ব্যাংকের একাউন্টধারীরা অনলাইন পেমেন্ট এর মাধ্যমে
পরীক্ষার ফি প্রদান করতে পারবে।
(গ) এক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক এবং মোবাইল
ফিনান্সশিয়াল সার্ভিস (MFS) এর সার্ভিস চার্জও বোর্ড কর্তৃক নির্ধারণকৃত) অপারেটর
কেটে নিবে। যে অপারেটরের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা হবে সেই অপারেটরের সংশ্লিষ্ট একাউন্টে/ওয়ালেটে
বোর্ড ফি, কেন্দ্র ফি ও প্রতিষ্ঠানের পাওনা এবং সার্ভিস চার্জসহ সর্বমোট টাকার ন্যূনতম
ব্যাল্যান্স থাকতে হবে।
(ঘ) পেমেন্ট করার পর পরীক্ষার্থীকে তার
ফরম পূরণ সম্পন্ন হয়েছে মর্মে একটি SMS এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। কোন কারিগরি ত্রুটির
কারণে পরীক্ষার্থী: SMS না পেলে বোর্ডের ওয়েবসাইটে Student Panel থেকে তার ফরম পূরণের
Status যে কোন সময় দেখতে পাবে। প্রতিষ্ঠানকর্তৃক নির্বাচিত পরীক্ষার্থীরাই ফরম পূরণের
জন্য ফি জমা দিতে পারবে।
(বি.দ্র: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন
পরীক্ষার্থী ফি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে তার ফরম পূরণ সম্পন্ন হয়নি বলে গণ্য হবে।)
ইলেক্ট্রনিক
ফরম ফিলাপ eFF এর কার্যক্রমের সময়সূচি নিম্নে প্রদত্ত হলো:
৬।
যে সকল প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি ভার্সনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণেচ্ছু পরীক্ষার্থী রয়েছে তাদের
তালিকা নিচের ছক অনুযায়ী তৈরি করে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১০ (দশ) দিনের মধ্যে মূল কপি
স্ক্যান করে hscdeb@gmail.com ই-মেইল ঠিকানায়
পাঠাতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের ইংরেজি ভার্সনে পরীক্ষা
গ্রহণ করা সম্ভব হবে না।
৭।
এক/দুই বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সংক্রান্ত:
(ক) যে সকল পরীক্ষার্থী ২০১৮/২০১৯
সালের এইচএসসি পরীক্ষায় এক বা একাধিকবার অংশগ্রহণ করে এক দুই বিষয়ে (চতুর্থ বিষয়
বাদে) অকৃতকার্য/অনুপস্থিত হয়েছিল, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকলে তারা ২০২১ সালে অনুষ্ঠিতব্য
এইচএসসি পরীক্ষায় অবশিষ্ট অকৃতকার্য অনুপস্থিত বিষয় বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
করতে পারবে। তবে পরীক্ষার্থীগণ ইচ্ছা করলে একদুই বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে
নিয়মিত পরীক্ষার্থীর ন্যায় গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষার জন্য
ফরম পূরণ করতে পারবে।
(খ) যে সকল পরীক্ষার্থী ২০১৮/২০১৯
সালের এইচএসসি পরীক্ষায় এক/দুই বিষয়ে অনুতকার্য অনুপস্থিত হয়ে ২০১৮/২০১৯ সালে এইচএসসি
পরীক্ষায় ঐ এক দুই বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকালে বহিষ্কার অথবা অভিযুক্ত হয়েছে
এবং শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১৮/২০১৯/২০২০ সালের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে,
রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকলে তারা ২০২১ সালের সকল বিষয় (গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক
বিষয়)/এক/দুই বিষয়ের পরীক্ষার জন্য ফরমপূরণ করতে পারবে।
(বি:দ্র: আবশ্যিক বিষয়ের
কোন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না তবে আবশ্যিক বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকেও ফরম পূরণ
করতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষার মূল্যায়ন ব্যবহারিক নোটক হতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে
প্রদান করা হবে)।
৮।
২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ৪র্থ বিষয়ের সুবিধা সংক্রান্ত:
পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালায়
উল্লিখিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন নং- শিম/শাঃ১০/৭ পরীক্ষা২ (গ্রেভিং)/২০০২/৬১০,
তারিখঃ ০৪/০১/০৩ এর ১ (ঞ) এ বর্ণিত নিয়ম মোতাবেক ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী
পরীক্ষার্থীগণকে ৪র্থ বিষয়ের সুবিধা প্রদান করা হবে।
৯।
রেজিষ্ট্রেশন ও সেশন সংক্রান্ত:
(ক) ২০১৬-১৭ সেশনের পূর্বের
রেজিস্ট্রেশনধারী কোন পরীক্ষার্থী ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে
না। তবে ২০১৫-১৬ সেশনের এক বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন নবায়ন করে এ
বিষয়ের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
(খ) পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন
নম্বর ও বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানকে
বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
১০।
রেজিস্ট্রেশন নবায়ন সংক্রান্ত:
(ক) যে সকল পরীক্ষার্থী ২০১৭,
২০১৮ ও ২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষার যে কোন এক বা একাধিক বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
করে এক বিষয়ের (চতুর্থ বিষয় বাদে) পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে এবং যে কোন কারণে তারা
২০১৮ ও ২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি অথচ তাদের ২০১০ সালে রেজিস্ট্রেশনের
মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তারাও অতিরিক্ত ১০০/- (একশত) টাকা নবায়ন ফি বোর্ড ফি'র সাথে
পরিশোধ করে শুধু একবারের জন্য রেজিস্ট্রেশন নবায়নপূর্বক ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায়
অংশগ্রহণ করতে পারবে।
(খ) রেজিস্ট্রেশন নবায়নকৃত পরীক্ষার্থীর
নবায়ন ফি বাবদ অর্থ ফরম পূরণের (eFF) ফি এর সাথে গ্রহণ করা হবে বিধায় বায়নকৃত পরীক্ষার্থীকে
আলাদাভাবে নবায়ন ফি বাবদ অর্থ প্রদান করতে হবে না। তবে বিগত বছরের ন্যায় রেজিঃ কার্ডে
বোর্ড থেকে নবায়ন সিল দেয়ার প্রয়োজন নেই।
বি.দ্র.: দুই বা ততোধিক বিষয়ে অকৃতকার্য
থাকলে কথনই রেজিস্ট্রেশন নবায়ন করা যাবে না।
১১।
জিপিএ উন্নয়ন হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সংক্রান্ত:
রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকলে জিপিএ উন্নয়নের
জন্য পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার অব্যবহিত পরের বছরেই এইচএসসি পরীক্ষায়
অংশগ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে যে সকল পরীক্ষার্থী ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ
৫.০০ (পাঁচ) এর কম পেয়েছে তারা জিপিএ উন্নয়নের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ
পাবে। তবে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীকে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর ন্যায় নৈর্বাচনিক
বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। জিপিএ উন্নয়নের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন নবায়ন করা যাবে না।
(খ) এক/দুই বিষয়ের অকৃতকার্য
যে সকল পরীক্ষার্থী ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পুরণ করে প্রবেশ পত্র পেয়েছে
এবং উত্তীর্ণ হয়েছে তারা কখনই জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
১২। নৈর্বাচনিক বিষয় ও সিলেবাস সংক্রান্ত:
bds
(বি:দ্র:
একজন নিয়মিত পরীক্ষার্থী গ্রুপ ভিত্তিক ০৩ টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
করবে। আবশ্যিক বিষয় ও ৪ র্থ বিষয়- এর কোন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।)
১৩। সকল প্রকার পরীক্ষার্থীর বোর্ড ফি এর হার নিম্নোক্ত ছকে দেয়া হলো:
১৪।
কেন্দ্র ফি সংক্রান্ত:
(ক) এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ফি জন প্রতি
৩০০/- (তিনশত টাকা)। (কেন্দ্র ফি থেকে ট্যাগ অফিসারের সম্মানা ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ
করতে হবে)। আদায়কৃত কেন্দ্র ফি হতে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান ১০% টাকা নিজস্ব ব্যয়ের জনা
বেখে অবশিষ্ট ৯০% টাকা পরীক্ষা কেন্দ্রের/ভেন্যর ব্যয়ভার নির্বাহের জন্য ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তাকে প্রদান করতে হবে।
(খ) ব্যবহারিক প্রতি পত্রের জন্য ব্যবস্থাপনা
ফি ০৫/- (পাঁচ) টাকা (ব্যবহারিক প্রতি পত্রের জন্য ব্যবস্থাপনা ফি ০৫/- এর ৪০% বা ২
টাকা প্রতিষ্ঠান এবং ৬০% বা ৩ টাকা কেন্দ্র ব্যয় করবে)।
(গ) এইচএসসি পরীক্ষার ব্যবহারিক নোটবুক
মূল্যায়ন ফি পত্র প্রতি ০৫/- (পাঁচ) টাকা (প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষককে
প্রদান করবেন)।
বি:দ্রঃ কেন্দ্র ফি বাবদ আদায়কৃত অর্থ
দিয়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র/কলেজ কর্তৃপক্ষ তত্ত্বীয় পরীক্ষার যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ
করবেন। বোর্ড অফিস হতে সাদা উত্তরপত্র এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য সাজসরঞ্জাম
সংগ্রহ করার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ কেন্দ্র ফি হতে বহন করতে হবে। অর্থাৎ পরীক্ষা কেন্দ্রের
যাবতীয় ব্যয় কেন্দ্র ফি হতে সংকুলান করতে হবে। ভেন্যু কেন্দ্রের পরীক্ষা পরিচালনার
সকল প্রকার ব্যয়ভার মূল কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বহন করবেন।
(ঘ) শুধু আবশ্যিক বিষয়ের অকৃতকার্য আংশিক
পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র ফি প্রদান করতে হবেনা। তবে অবশ্যই ফরমপূরণ করতে হবে। আংশিক
বিষয়ের অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী এক/দুই বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর
ন্যায় গ্রুপ ভিত্তি তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করলে বা শুধু
একটি/দুইটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্র ফি
প্রদান করতে হবে।
১৫। নিয়মিত শিক্ষার্থী প্রতি ফরম পূরণ ফি নিম্নলিখিত হারে নির্ধারণ করা হয়েছে-
Post a Comment
0 Comments