প্রযুক্তি

Type Here to Get Search Results !

HSC 2022 ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান || ইসলামের ইতিহাস

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি


প্রিয় এইচএসসি ২০২২ শিক্ষার্থী বন্ধুরা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে ৬ষ্ঠ সপ্তাহে যে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে তা মূলত একটি প্রতিবেদন। প্রশ্ন বুঝে তারপরই উত্তর করা দরকার। এখানেও তাই শুধু অ্যাসাইনমেন্ট লিখলে হবে না, ৬ষ্ঠ সপ্তাহের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে এবার প্রতিবেদন আকারে লিখতে হবে।

ই-ভিশন তোমাদের কথা মাথায় রেখে নমুনা উত্তর পেশ করছে। তোমরা তোমাদের মতো সাজিয়ে লিখো।      

বিষয়ঃ ইসলামের ইতিহাস ১ম পত্র

বিষয় কোডঃ   

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি


শিরোনাম : প্রাচীন মিশরীয়, সুমেরীয়, হিব্রু, গ্রিক ও রোমীয় সভ্যতা সমুহের উল্লেখযোগ্য অবদান পর্যালোচনা পূর্বক একটি প্রতিবেদন


তারিখঃ ২৩ আগস্ট, ২০২১ 

বরাবর, 

অধ্যক্ষ মহোদয় 

ফুলবাড়ীয়া কলেজ, গাজীপুর। 

বিষয়ঃ প্রাচীন মিশরীয়, সুমেরীয়, হিব্রু, গ্রিক ও রোমীয় সভ্যতা সমুহের উল্লেখযোগ্য অবদান পর্যালোচনা পূর্বক একটি প্রতিবেদন পেশ করা হলো।


জনাব, 

বিনীত নিবেদন এই যে, ২২ আগস্ট, ২০২১ প্রকাশিত আপনার আদেশ যাহার স্মারক- ফু.বা.ক.গা.১৬/২০২১ অনুসারে আদিষ্ট হয়ে "প্রাচীন মিশরীয়, সুমেরীয়, হিব্রু, গ্রিক ও রোমীয় সভ্যতার উল্লেখযোগ্য অবদান পর্যালোচনা পূর্বক একটি প্রতিবেদন পেশ করছি। 

প্রাচীন মিশরীয়, সুমেরীয়, হিব্রু, গ্রিক ও রোমীয় সভ্যতা সমুহের উল্লেখযোগ্য অবদান পর্যালোচনা

ক. প্রাচীন সভ্যতা সমূহের পটভূমি 

মিশরীয় সভ্যতা: 

আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে বর্তমানে যে দেশটির নাম ইজিপ্ট, সেই দেশেরই প্রাচীন নাম মিশর। খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ থেকে ৩২০০ অব্দ পর্যন্ত নীল নদের অববাহিকায় একটি সমৃদ্ধ জনপদের উদ্ভব হয়। এ সময় থেকে মিশর প্রাচীন সভ্যতায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে শুরু করে। এরপর ৩২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে প্রথম রাজবংশের শাসন আমল শুরু হয়। ঐ সময় থেকে মিশরের ঐতিহাসিক যুগের সূচনা হয়। একই সময়ে নারমার বা মেনেস হন একাধারে মিশরের প্রথম নরপতি এবং পুরোহিত। তিনি প্রথম ফারাও- এর মর্যাদাও লাভ করেন। এরপর থেকে ফারাওদের অধীনে মিশর প্রাচীন বিশ্বসভ্যতার অগ্রগতিতে একের পর এক উল্লেযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়।

ভৌগোলিক অবস্থান: 

তিনটি মহাদেশ দ্বারা ঘিরে থাকা মিশরের ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশটি এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত। এর উত্তরে ভূমধ্যসাগর, পূর্বে লোহিত সাগর, পশ্চিমে সাহারা মরুভূমি, দক্ষিণে সুদান ও আফ্রিকার অন্যান্য দেশ। এর মোট আয়তন প্রায় চার লক্ষ বর্গমাইল।

সুমেরীয় সভ্যতা: 

মেসোপটেমিয়ার উত্তরাংশে আক্কাদ ও দক্ষিণাংশে সুমের। এ সুমেরকে কেন্দ্র করেই আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দ নাগাদ মেসোপটেমিয়ায় এক উন্নত সভ্যতার উন্মেষ ঘটে। জাতিতে অসেমিটিক সুমেরবাসীই আদি মেসোপটেমিয়ার জনক। আনুমানিক ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সেমিটিক জাতির একটি শাখা দজলা ফোরাত (বর্তমানে টাইগ্রিস-ইউফ্রেটিস) উপত্যকায় এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে। সমাজ ও সভ্যতার দিক দিয়ে অনগ্রসর এই সেমিটিক শাখাটিই স্থানীয় সুমেরীয়দের ঘরবাড়ি তৈরি, জলসেচ সর্বোপরি লিখন পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে।

হিব্রু সভ্যতা: 

হিব্রু সভ্যতার উৎস ভূমি মধ্যপ্রাচ্যে। এ সভ্যতা আজকের ফিলিস্তিন ও ইসরাইল অঞ্চল কেন্দ্রিক গড়ে ওঠেছিল। জাতিগত ভাবে হিব্রুরা ছিল একটি মিশ্রিত জাতি। কুটনীতি স্থাপত্য এবং চিত্রকলার দিক থেকে হিব্রুরা সভ্যতার ইতিহাসে খুব অল্পই ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু নৈতিকতা ও ধর্মীয়ক্ষেত্রে বিশ্বসভ্যতায় হিব্রুদের অবদান ছিল যুগান্তকারী। হিব্রুদের মূল নামের উৎপত্তিগত শব্দ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। 

প্রচলিত একটি মতে, খাবিরু বা হবিরু নাম থেকেই হিব্রু হয়েছে। হিব্রু অর্থ বিদেশী, নিম্নবংশীয় বা যাযাবর। অধিকাংশ পণ্ডিতের মতেই হিব্রুদের আদিবাস ছিল আরবভূমিতে। তাদের প্রথম বসতি গড়ে ওঠে উত্তর-পশ্চিম মেসোপটেমিয়াতে। সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০ অব্দে ইব্রাহীম (আ:) এর নেতৃত্বে হিব্রুদের একটি দল এখানে বসতি গড়ে তোলে। পরবর্তীতে ইব্রাহীম (আ:) এর ছেলে ইসমাইল (আ:) এর নেতৃত্বে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়। এ সময় থেকে তারা ইসরাইলি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

গ্রীসভ্যতা: 

মানব সভ্যতার ইতিহাসে যে কটি দেশের মানুষ তাদের উজ্জ্বল অতীতের জন্য ঈর্ষণীয় গৌরবের অধীকারী গ্রিকরা তাদের অন্যতম। গ্রিক নামটি রোমানদের দেয়া। গ্রিসে জন্ম নিয়েছেন তাদের মধ্যে মহাকবি হোমার, জ্ঞানতাপস সক্রেটিস, স্থাপত্য-ভাস্কর্যের অবিস্মরণীয় দিকপাল ইকটিনাস ও ফিডিয়াস, রাজনীতি মঞ্চের অপ্রতিদ্বন্ধী কৌশলী থেমিস, টকলস, এরিস্টাইডিস ও পেরিক্লিস, সাহিত্যের অনির্বাণ জ্যোতিষ্ক সফোক্লিস, এরিস্টোফেলেস, ইউরিপাইডিস, দর্শনের শিখায়ী প্লেটো ও এরিস্টটল, ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস, ধুকিডিডিস প্রমুখ মনীষীর আবির্ভাব এই গ্রিক সভ্যতায়। শিল্প, বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন ও সাহিত্য প্রতিটি ক্ষেত্রে এর অবদান বিশ্ব সভ্যতায় উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। এ সভ্যতার বিকাশ ও সমৃদ্ধিতে আকিয়ানসহ দোরিয়ান ও আয়োনিয়ানদের অবদান অনস্বীকার্য।

রোমান সভ্যতা: 

বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ সভ্যতা। রোম, গ্রীস, কার্ধেক ও প্যালেস্টাইন সহ ভূমধ্যসাগর অঞ্চল জুড়ে বিদ্যমান সকল রাষ্ট্রকে এটি যেমন অধিকার করে, তেমনি অধিকৃত রাষ্ট্রসমূহের শিল্প সংস্কৃতি ও ধ্যান-ধারণা আত্মস্থ করে নিজস্ব অবদানে তা সমৃদ্ধও করে। বিশ্ব সভ্যতার ক্ষেত্রে রোমান সভ্যতার প্রধানতম অবদান রাজনৈতিক ও সরকার পরিচালনা ব্যবস্থা সংক্ৰান্ত রীতি পদ্ধতি। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে রোম শহরের পত্তন হয়। কালক্রমে টাইবার নদীর মোহনায় সাতটি পার্বত্য টিলাকে কেন্দ্র করে এই নগরীর বিস্তৃতি ঘটে। এই সাতটি নগরীকে নিয়ে পরে গড়ে তোলা হয় একটি একক নগররাষ্ট্র। 

খ্রিস্টপূর্ব ২৮০ অব্দ নাগাদ রোমানরা বিভিন্ন জাতির সমন্বয়ে স্বাধীন মিত্রদের একটি শক্তিশালী সংঘ গঠন করে। রোম সাম্রাজ্যকে সুসংহত ও বিস্তৃত করতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তারা হলেন জুলিয়াস সিজার, পাম্পে দ্য গ্রেট, আউগুস ও তাইবেরুস।


খ. সভ্যতা সমূহের উল্লেখযোগ্য অবদান 

সভ্যতায় মিশরীয়দের অবদান: 

প্রাচীন সভ্যতায় মিশরীয়দের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। ধর্মীয় চিন্তা, শিল্প, ভাস্কর্য, লিখন পদ্ধতি, কাগজের আবিষ্কার, জ্ঞান বিজ্ঞানচর্চা— সবকিছুই তাদের অবদানে সমৃদ্ধ। মিশরীয়দের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, তাদের জীবন ধর্মীয় চিন্তা ও বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত ছিল। 

সুমেরীয়দের অবদান: 

বড় অবদান চাকা আবিষ্কার করেন। জলঘড়ি ও চন্দ্ৰপঞ্জিকা আবিষ্কারে বিশেষ অবদান রয়েছে। সুমেরিয় গণ কিউনিফার্ম নামে একটি নতুন লিপির উদ্ভাবন করেন।কিউনিফার্ম কে বলা হয় অক্ষরভিত্তিক বর্ণমালা। সুমেরীয় সাহিত্য মিশরীয়দের চেয়ে উন্নত ছিল।সুমেরীয়রাই প্রথম মহাকাব্য রচনা করেছিলেন।তাদের বিখ্যাত মহাকাব্যের নাম - গিলগামেশ।

সভ্যতায় গ্রিসের অবদান: 

ভৌগোলিক কারণে গ্রিক নগর রাষ্ট্রগুলো একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকলেও তাদের সংস্কৃতি ছিল অভিন্ন। রাজনৈতিক অনৈক্য থাকা সত্ত্বেওস্তারা একই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী বলে মনে করত। তাদের ভাষা, ধর্ম, সাহিত্য, খেলাধুলা সবকিছু এক সংস্কৃতির বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছিল। এই সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে মূল অবদান ছিল এথেন্সের। আর এই সংস্কৃতির নাম হচ্ছে হেলেনীয় সংস্কৃতি।

সভ্যতায় রোমানদের অবদান: 

রোমান সাম্রাজ্য প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো। এত বছর পরও পৃথিবী তাদের দেওয়া অনেক অবদান ভুলতে পারেনি। আধুনিক অনেক প্রযুক্তিই প্রাচীন রোম থেকে পাওয়া। কৃষি থেকে শুরু করে বিনোদন সব জায়গাতেই রোমানদের ঐতিহ্য, জ্ঞান আর ডিজাইন ব্যবহার করা হচ্ছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। আরফাতুন নাবিলা লিখেছেন আধুনিক সভ্যতায় কিছু রোমান অবদানের কথা।


গ. প্রাচীন সভ্যতা সমূহের ধর্মীয় বিশ্বাস 

মিসরীয়: প্রথমে কোন ধর্ম বিশ্বাস ছিলো না। পরে বিভিন্ন দেব দেবীর পূজা করত। 

সুমেরীয়: সুমেরীয়দের বিশ্বাস অনুযায়ী, স্বর্গ ছিল শুধুমাত্র দেবদেবীদের জন্যই সংরক্ষিত এবং জীবৎকালে আচরণ যাই হােক না কেন, মৃত্যুর পর সকল নশ্বর ব্যক্তির আত্মাই মৃত্যুর পর মাটির অনেক নিচে অবস্থিত এক শীতল ও অন্ধকার গুহায় গমন করত। এই প্রেতলোকের নাম ছিল কুর এবং এই লোক শাসন করতেন দেবী এরেশকিগাল। 

হিব্রু: ইহুদি ধর্ম (হিব্রু ভাষায়: য়েহুদীম) একটি প্রাচীন অব্রাহামীয় একেশ্বরবাদী ধর্ম। ইহুদি বিশ্বাসমতে, ঈশ্বর এক, আর তাঁকে যিহোভাহ (Jehovah, YHWH) নামে আখ্যায়িত করা হয়। মোশি হলেন ঈশ্বরের একজন বাণীবাহক। ইসলাম ও খ্রিস্টধর্মের মতোই ইহুদিগণ পূর্বতন সকল বাণীবাহককে বিশ্বাস করেন, এবং মনে করেন মালাশী সর্বশেষ বাণীবাহক।

গ্রীক: গ্রীক পৌরাণিক কাহিনির গল্পগুলো আতিথেয়তা  নির্দেশ করে, কিন্তু তারা গ্রিক ধর্মের সামগ্রীকতা তৈরি করতে পারে না, ঠিক যেমন বাইবেল এবং কোরআন আধুনিক একেশ্বরবাদী ধর্মের সামগ্রিকতা নয়।

রোমানদের ধর্ম: রোমাদের ধর্ম বিশ্বাস ধর্মগ্রন্থ ও নবী কেন্দ্রিক ছিলো না, যাজকদের সাহিত্য ছিলো প্রথমদিককার লাতিন গদ্যের লিখিত রূপ। কলেজ অব পন্টিফস এবং আর্গাসের বই (লাইব্রি) এবং বর্ণনা (commentarri) তে আছে ধর্মীয় পদ্ধতি, প্রার্থনা, বিধান এবং ধর্মীয় আইনের উপর মতামত।


ঘ. মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে প্রাচীন সভ্যতার প্রভাব

অতীত ব্রিটেন থেকে শুরু করে ব্যাবিলন, এরকম অনেক প্রাচীন সভ্যতার নানা নিদর্শন নিয়ে গড়ছে উঠেছে আমাদের আধুনিক বড় বড় শহরগুলো। সেই সব প্রাচীন সভ্যতার অনেক কিছুই ভুমিকা রাখছে এসব শহরের আর ভবনের পরিকল্পনায়। এখানে তার কয়েকটি উদাহরণ: 

১. প্রাচীন মিশর এবং পিরামিড 

প্রাচীন মিশরের সবচেয়ে বড় নিদর্শন পিরামিডগুলো, যার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে আধুনিক স্থাপত্যকলায়, যার উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায় বিভিন্ন ভবনের নকশায়। বিশ্ব জুড়ে অনেক ভবনে পিরামিডের আদল দেখা যাবে। যেমন মেমফিসের পিরামিড অ্যারেনা, লাস ভেগাসের লুক্সর ক্যাসিনো এন্ড হোটে জাপানের নিমা স্যান্ড মিউজিয়াম, এসব ভবন পিরামিডের আদলে নকশা করা হয়েছে। প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামের প্রবেশদ্বারও পিরামিডের মতে মতো নির্মাণ করা হয়েছে। 

২. রোমান সাম্রাজ্যের পথ 

'সব পথই রোমে গিয়ে ঠেকেছে'। এই প্রবচনটি হয়তো পুরোপুরি সত্যি নয়, কিন্তু প্রাচীন যুগের রোমানরা অবশ্যই তাদের সম্পর্কে দুইটি বিষয় ভালোভাবে জানতো।

রোমানদের আগে শহর ও নগরগুলোয় যাতায়াতের সহজ কোন পথ ছিল না। কার্যকরী যোগাযোগ ব্যবস্থা আর বাণিজ্য পথের গুরুত্ব তারা বুঝতে পেরেছিল। 

এ কারণে সবচেয়ে ভালো পথ নির্মাণ করতে বড় আকারে জরিপ করা হয়, যাতে পথে কোন প্রতিবন্ধকতার তৈরি না হয় এবং পথটি সোজাসাপ্টা হয়। 

তারা পাথরের ভিত্তি স্থাপন করে এবং পথের ওপরও পাথর বসিয়ে দেয়, যাতে ভারী ঘোড়ার গাড়ী এবং সৈন্য বহরের চাপেও রাস্তা ঠিকঠাক থাকে। 

খৃষ্টপূর্ব ৪০০ বছর আগের এই প্রযুক্তি এখনো সড়ক নির্মাণে ব্যবহার করা হয়। রোমানদের তৈরি করা বেশ কিছু পথ এখনো ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সড়ক হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

৩. ব্যাবিলনের পয়ঃনিষ্কাষণব্যবস্থা 

প্যারিসে প্রথম পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থা চালু হয় ১৮৫০ সালে। লন্ডনে চালু হয় ১৮৬৬ সালে। 

কিন্তু ব্যাবিলনে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছিল খৃষ্টপূর্ব প্রায় ৪০০০ বছর আগে। কিন্তু সেটি গ্রহণ করতে বাকি বিশ্বের এতো বেশি সময় কেন লাগলো? 

ধারণা করা হয়, প্রাচীন ব্যাবিলনেই প্রথম কাদা মথিত করে পাইপের আকার দেয়া হয়, যার মাধ্যমে বাসাবাড়ি থেকে পয়ঃবর্জ্য বের করে দেয়া হতো। 

বেল এট নিপপুর এ হাজার হাজার বছর আগের এরকম পাইপ এবং টি-জয়েন্টের নমুনা পাওয়া গেছে।

৪. প্রাচীন গ্রিক পানি সরবরাহ ব্যবস্থা 

এককথায় বলা চলে, প্রাচীন গ্রিকরা ছিল পানি সরবরাহ ব্যবস্থার প্রথম উদ্ভাবক। 

প্রাচীন ক্রেটান- মিনোয়ারা প্রথম কাদাকে পাইপ বানিয়ে মাটির নীচে বসিয়ে দেয়। তাদের রাজধানী কোনোসোসে পরিষ্কার পানি নিয়ে আসা আর ময়লা পানি বের করে দেবার ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল। রোমের সড়কের কথা এর আগে এসেছে। এবার আলোচনায় আনা যাক আরেকটি বিষয়: 'রোম একদিনেই নির্মিত হয়নি।' 

শহরের নানা তোরণের ঘুরপ্যাঁচ, কলাম এবং গম্বুজগুলো যেভাবে স্থাপন করা হয়েছে, তাতে ওই প্রবাদ বাক্যটি সঠিক বলেই প্রমাণিত হয়।

রোমান সাম্রাজ্যের স্থাপত্য নমুনা এখনো বিশ্বজুড়ে দেখা যাবে। 

যখন উনিশ শতকে নেপোলিয়ন তার নিজস্ব সাম্রাজ্য তৈরি করছিলেন, তিনি বেশ কয়েকটি পার্সিয়ান অবকাঠামো নির্মাণের আদেশ দেন, যা আসলে রোমানদের কাছ থেকেই ধার করা। উদাহরণ হিসাবে আর্ক ডে ট্রায়োম্ফ এবং প্যালেস ভেনডোমের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউজের দিকেও একবার তাকিয়ে দেখুন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির এই বাসভবনের কলাম এবং ড়েন পরিষ্কারভাবে প্রাচীন রোমেরই প্রতিনিধিত্ব করছে।

তারা বড় আকারে ঘরবাড়ি গরম রাখার ব্যবস্থা তৈরি করেছিল এবং টয়লেটে ফ্লাশিং ব্যবস্থা করেছিল। কার্বন পরীক্ষা দেখা গেছে, এই প্রযুক্তি চালু হয়েছিল খৃষ্টপূর্ব আঠারোশো শতকে।


৫. পৌত্তলিক ব্রিটেন এবং সূর্য উপাসনা 

মিল্টন কেইনেস হয়তো ব্রিটেনের সবচেয়ে সুন্দর শহর নয়, কিন্তু শহরটি সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়, সজ্ঞানে আর নিশ্চিতভাবে একটি আধুনিক শহর। 

গৃহ সমস্যা মেটাতে যদিও এটি নির্মাণ করা হয়েছে ১৯৬০ সালে, কিন্তু শহরটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেখানে ব্রিটেনের ইতিহাস নানাভাবে ফুটে উঠেছে। 

পৌত্তলিক ব্রিটেনের প্রথা আর বিশ্বাসের নানা বিষয় শহরের নকশায় ব্যাপকভাবে স্থান পেয়েছে। স্টোনহেজের মতো শহরের প্রধান সড়কটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যে, গ্রীষ্মের সময় সেটি উদিত সূর্যের সমান্তরাল থাকে।

৬. প্রাচীন রোমান স্থাপত্য 

রোমের সড়কের কথা এর আগে এসেছে। এবার আলােচনায় আনা যাক আরেকটি বিষয়: 'রোম একদিনেই নির্মিত হয়নি।'

শহরের নানা তোরণের ঘুরপ্যাঁচ, কলাম এবং গম্বুজগুলো যেভাবে স্থাপন করা হয়েছে , তাতে ওই প্রবাদ বাক্যটি সঠিক বলেই প্রমাণিত হয়। 

রোমান সাম্রাজ্যের স্থাপত্য নমুনা এখনো বিশ্বজুড়ে দেখা যাবে। 

যখন উনিশ শতকে নেপোলিয়ন তার নিজস্ব সাম্রাজ্য তৈরি করছিলেন, তিনি বেশ কয়েকটি পার্সিয়ান অবকাঠামো নির্মাণের আদেশ দেন, যা আসলে রোমানদের কাছ থেকেই ধার করা। উদাহরণ হিসাবে আর্ক ডে ট্রায়োম্ফ এবং প্যালেস ভেনডোমের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউজের দিকে একবার তাকিয়ে দেখুন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির এই বাসভবনের কলাম এবং তােড়ন পরিষ্কারভাবে প্রাচীন রোমেরই প্রতিনিধিত্ব করছে।


প্রতিবেদন তৈরির তারিখঃ ২৩ আগস্ট, ২০২১ 

প্রতিবেদকের নামঃ শরিফুল ইসলাম 

প্রতিবেদন প্রাপকের নামঃ জাব্বার মিয়া


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.