প্রযুক্তি

Type Here to Get Search Results !

বিয়ে না করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে

বিয়ে না করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে


বিয়ে না করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে

বিয়ে এবং সংসার জীবন নিয়ে অনেকের আগ্রহ কম থাকে। আবার কারও কারও বিয়ে নিয়ে বাড়তি আগ্রহ দেখা যায়। হয়তো এ কারণেই বলা হয়, বিয়ে দিল্লিকা লাড্ডুর মতো, খেয়েও পস্তায়, আবার না খেয়েও পস্তায়।

যারা বিয়ে করেননি তারা মনে করেন, বিয়ে করলে জীবনে হয়তো সুখী হতে পারতাম! অন্যদিকে যারা বিয়ে করেছেন তারা মনে করেন অহেতুক ব্যাচেলর লাইকের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হলাম। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণা বলছে, বিয়ে না করলে পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কিছুদিন আগে ‘ইনভেস্টিগেটিভ জার্নাল'-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা অবিবাহিত বা যাদের জীবনসঙ্গী নেই, তাদের ক্ষেত্রে পাকস্থলীয় ক্যানসারে মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিবাহিত হলে ক্যানসার রোগীদের দীর্ঘায়ু পেতে সাহায্য করতে পারে। নতুন গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের দিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। রোগীদের প্রত্যেকেই ছিলেন ক্যানসারের প্রথমিক পর্যায় আক্রান্ত।

চীনা বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, ২ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ও মহিলাদের গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার ধরা পড়ার পর অবিবাহিতদের তুলনায় পাঁচ বছর বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। গবেষকদের মতে, জীবনসঙ্গী পাশে থাকলে তিনি আপনার খেয়াল রাখতে পারেন। অসুখ হলে ওষুধ নো এবং অন্যান্য সেবা তার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। ফলে রোগীর জন্য স্বাস্থ্যকর আচরণ মেনে চলা সহজ হয়। দীর্ঘায়ু হওয়ার জন্য এসব অভ্যাস জরুরি।

আর শরীরে কোনো রকম সমস্যা হলে যারা অবিবাহিত বা একা থাকেন তারা ততটাও গুরুত্ব দেন না। আর তাতেই রোগে কাবু হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা বিবাহিত তাদের ক্ষেত্রে রোগ আগেই ধরা পড়েছে তাই চিকিৎসা পদ্ধতিও দ্রুত চালু করা সম্ভব হয়েছে। তাই বিবাহিতদের সুস্থতার হারও বেশি।

বিবাহিতরা আর্থিক ও মানসিক দুই ক্ষেত্রেই রোগের সঙ্গে লড়াই করার বেশি সামর্থ্য রাখে। গবেষণায় আরও জান গেছে, যাদের স্বামী কিংবা স্ত্রী মারা গিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকি হার অনেকটাই বেশি। সাধারণ ভাবেই শরীরের প্রতি অযত্ন এর পেছনে বড় কারণ।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.