প্রযুক্তি

Type Here to Get Search Results !

৬০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের বিশাল নিয়োগ

 

৬০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের বিশাল নিয়োগ

৬০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের বিশাল নিয়োগ

নতুন বছরের শুরুতে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বেসরকারি নিয়োগের মহাপরিকল্পনা করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এজন্য ৬০ হাজারের বেশি এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আসছে অক্টোবরের শেষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রার্থীরা চলতি বছরের শেষে শিক্ষক পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেতে পারেন। তারপর হবে পুলিশ ভেরিফিকেশন। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের শুরুতে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারবেন প্রার্থীরা। এবারের নিয়োগে আবেদন প্রক্রিয়াসহ কিছু পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ নিয়োগে ফলে বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যামান শিক্ষক সংকট কেটে যাবে।

এরইমধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের কাজ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে এনটিআরসিএ। এখন চলছে এমপিও শূন্যপদের তথ্য সংশোধন ও যাচাই বাছাই। কর্মকর্তারা আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তথ্য যাচাই বাছাই করতে পারবেন। তারপর ননএমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শূন্যপদের চাহিদা সংগ্রহ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজারের বেশি শূন্যপদের তথ্য পাওয়া গেছে। যাচাই বাছাইয়ে এ সংখ্যা কিছুটা কমবেশি হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. এনামুল কাদের খান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখন যাচাই-বাছাই চলছে। এরপর ননএমপিও শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সব ঠিক থাকলে অক্টোবর মাসের শেষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে এনটিআরসিএ।

তবে অক্টোবরে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষ্য অর্জনে এনটিআরসিএর প্রয়োজন হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতা। কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়ায় কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ইনডেক্সধারী শিক্ষক ও নিবন্ধিত প্রার্থীদের আলাদা প্রক্রিয়ায় নিয়োগের চিন্তা করা হচ্ছে। প্রার্থীদের ১ হাজার টাকার বিনিয়মে একটি আবেদনে ৪০টি পদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু লিখিত নির্দেশনা প্রয়োজন আছে। অপরদিকে জটিলতা এড়াতে শূন্যপদের তথ্য শিক্ষার তিন অধিদপ্তর থেকে যাচাই করে আনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব দাপ্তরিক কাজে অতিরিক্ত সময়ক্ষেপন হলে অক্টোবরের শেষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষ্যে ভাটা পড়ার সম্ভাবনাও আছে।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান। তিনি দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ইনডেক্সধারীদের আলাদা প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে। তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া কিভাবে চলবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। আবার অধিদপ্তরগুলো থেকে আমরা শূন্যপদের তথ্যগুলো ভ্যারিফাই করে নেবো। এসব দাপ্তরিক কাজ শেষ করতে পারলে তবেই লক্ষ্য অনুযায়ী গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে। দাপ্তরিক কাজে অতিরিক্ত সময়ক্ষেপন হলে লক্ষ্য অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে।

নিয়োগ প্রক্রিয়া কিভাবে বদলাচ্ছে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা প্রার্থীদের সুবিধার্থে কিছু প্রক্রিয়া পরিবর্তনের চিন্তা করছি। প্রার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকার একটি আবেদন নিয়ে তাদের ৪০ পদে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। অপরদিকে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের জন্য আলাদা প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। এসব বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে কথা হয়েছে এনটিআরসিএর। তবে, বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়। এসব বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লিখিত নির্দেশনা ও অনুমোদনের প্রয়োজনও আছে। সব ঠিক থাকলে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই আমরা এসব কাজ শেষ করতে পারবো।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.