প্রযুক্তি

Type Here to Get Search Results !

ট্রেন আসার পূর্ব মুহূর্তে গাড়ির ইঞ্জিন কেন বন্ধ হয়ে যায়?

ট্রেন আসার পূর্ব মুহূর্তে গাড়ির ইঞ্জিন কেন বন্ধ হয়ে যায়?

ট্রেন আসার পূর্ব মুহূর্তে গাড়ির ইঞ্জিন কেন বন্ধ হয়ে যায়?

প্রশ্ন হল, কেন ট্রেন আসার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে গাড়ি যখন রেল লাইনে উঠে, তখনই চাকা অচল হয়ে থুবড়ে দাঁড়িয়ে যায়। অথচ দূরত্ব মাত্র তিন হাত জায়গা। এখানে কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে!

বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা দিয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক বলরাম ভৌমিক। তিনি বললেন, যখন ট্রেন লেভেল ক্রসিং এর প্রায় কাছাকাছি চলে আসে অর্থাৎ সীমার মধ্যে এসে যায়, তখন লাইনের মধ্যে চাকার ঘর্ষণের ফলে ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক পাওয়ার বা তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির কারণে পুরো রেল লাইন আবিষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে সে সময়ে লাইনে অন্য কোন গাড়ি উঠলে সাথে সাথে তার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে কম সময়ে গাড়িটি রেল লাইন থেকে সরে যেতে পারে না।

অথচ যখন রেল গাড়ি নির্দিষ্ট রেঞ্জের বাইরে থাকে তখন লেভেল ক্রসিং পার হওয়াতে কোন সমস্যাই নেই। এজন্য অনেকের মুখে আমরা প্রায় শুনে থাকি, রেল লাইনে কেন মোটর গাড়ির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়?

একবার ভাবুনতো দুটো রেল লাইনের মধ্যে বিস্তারটা কত! আড়াই বা তিন হাতের বেশি নয়। এই তিন হাত অনেক পুরুষ লাফিয়ে পার হতে পারে। কিন্তু ট্রেন খুবই কাছাকাছি চলে এলে, তখন লাফিয়ে পার হবার চেষ্টা করা মানেই মৃত্যু নিশ্চিত! তখন তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির কারণে মানুষ লাফানোর শক্তি হারিয়ে ফেলবে বলেই মৃত্যু নিশ্চিত।

চুম্বকীয় শক্তির কারণে মানুষকে টেনে রাখবে বলে সমস্ত শরীর অধিক ভার (ওজন) হয়ে যাবে। এই কারণেই লেভেল ক্রসিং এ গেইট বন্ধ করে ট্রেন আসার প্রায় ৩/৪ মিনিট আগে, যাতে ম্যাগনেটিভ ফিল্ড সৃষ্টি হতে না পারে। কিন্তু আমাদের সাধারণ জনগন প্রায় বলতে শুনেছি, ট্রেন আসার আগেই গেইট ফেলে সে চুপচাপ বসে আরাম করে। মানুষকে কষ্ট দেয়।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.