প্রযুক্তি

Type Here to Get Search Results !

What is deferent between Digit and Number || অংক এবং সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য কি?

What is deferent between Digit and Number || অংক এবং সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য কি?

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আমাদের অনেকের মধ্যে গণিতের ভয় যেমনি আছে গণিত নিয়ে আগ্রহ আছে অনেকের। অনেকে আবার গণিত নিয়েই জীবনের সব সমাধান করার পথ খোঁজেন। তবে আমরা আজ ওত গভীরে যাবো না গণিতের প্রাথমিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।  

অংক কাকে বলে?

অংক: digit অর্থ অংক। মানুষ হিসাব নিকাশ ও গণ কার্যের জন্য যে সকল প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করে সেগুলো অংক। গণিতে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত ১০ টি অংক রয়েছে। অংক দুই ধরনের

  • ১। সার্থক অংক- ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ।
  • ২। সহকারী অংক- ০

সংখ্যা: অংক দ্বারা পরিমাণ বুঝালে সংখ্যা হয়। এক বা একাধিক অংক মিলে সংখ্যা তৈরি হয়। ১০, ১৫, ২১, ৪৬, ১৫২- অংকগুলো সংখ্যা হবে যখন এদের সাথে টি, টা, খানা, খানি, গুলো প্রভৃতি যুক্ত হবে। বাস্তবে ১০, ১৫, ২১, ৪৬, ১৫২ বলতে কোনে জিনিস পৃথিবীতে নেই। বরং কোনো জিনিসকে বুঝাতে এগুলো ব্যবহৃত হয়। একক অংক হিসেবে পরিমাণজ্ঞাপক হলে সার্থক অংকগুলোকে সংখ্যা বলা যায়। যেমন- ৩ লিটার, ৯ কেজি ইত্যাদি। 

সংখ্যা কত প্রকার

সংখ্যাকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায় :

  • ১. বাস্তব সংখ্যা
  • ২. অবাস্তব সংখ্যা

বাস্তব সংখ্যা: যেসব সংখ্যার বাস্তব অস্তিত্ব আছে, তাদের বাস্তব সংখ্যা বলা হয়।

যেমন ১, ২, ০, -২, ১/২, ০.২৩ ইত্যাদি।

অবাস্তব সংখ্যা: যেসব সংখ্যার বাস্তব কোনো অস্তিত্ব নেই, তাদের অবাস্তব সংখ্যা বলা হয়।

যেমন:  

Note: ঋণাত্মক কোনো সংখ্যার বর্গমূলের কোনো অস্তিত্ব নেই। এ ধরনের সংখ্যাকে বলা হয় অবাস্তব সংখ্যা।(alert-success)

 

  • গনিতে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক ও তাদের নাম জানতে ক্লিক করুন

বাস্তব সংখ্যা কত প্রকার প্রকার:

  • ১. দশমিক সংখ্যা; যেমন ১.২, ৩.৪, ১.৭৩৫২... ইত্যাদি।
  • ২. পূর্ণ সংখ্যা; যেমন -২, -১, ০, ১, ৫, ৭ ইত্যাদি।

স্বাভাবিক সংখ্যা: শূন্যসহ সব পূর্ণসংখ্যাকে বলা হয় স্বাভাবিক সংখ্যা।

যেমন ০, ১, ৩, ৬ ইত্যাদি।

Note: স্বাভাবিক সংখ্যা ধনাত্মক বা ঋণাত্মক উভয় প্রকার হতে পারে। তখন এদের ইংরেজিতে Integer বলা হয়।(alert-success)

জটিল সংখ্যা: বাস্তব সংখ্যা ও অবাস্তব সংখ্যার যোগফল অথবা বিয়োগফলকে বলা হয় জটিল সংখ্যা।

মূলদ: যেসব সংখ্যাকে ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা যায়, তাদের বলা হয় মূলদ সংখ্যা।

যেমন ১.২-কে ৬/৫ আকারে প্রকাশ করা যায়। সুতরাং ১.২ একটি মূলদ সংখ্যা।

অমূলদ সংখ্যা: যেসব সংখ্যাকে ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা যায় না, তাদের বলা হয় অমূলদ সংখ্যা।

যেমন: ইত্যাদি। তবে বর্গমূল ছাড়াও খুব সহজে অমূলদ সংখ্যা তৈরি করা যায়।

যেমন ০.১০১০০১০০০১০০০০১০০০০০১...

ভগ্নাংশ বা Fraction সম্পর্কে কি জানেন? যাচাই করতে ক্লিক করুন।

Note: ভগ্নাংশ দিয়ে এটিকে প্রকাশ করা যাবে না। শুধু ১ নয়, যেকোনো অঙ্ক ব্যবহার করেই এ ধরনের অমূলদ সংখ্যা তৈরি করা যেতে পারে।(alert-success)

  • অনলাইনে গণিতের যে কোন সমাধান করতে এখানে ক্লিক করুন।  

জোড় সংখ্যা: যেসব সংখ্যাকে ২ দ্বারা ভাগ করা যায়, তাদের বলা হয় জোড় সংখ্যা।

বিজোড় সংখ্যা: অন্যদিকে যেসব সংখ্যাকে ২ দ্বারা ভাগ করা যায় না, তাদের বলা হয় বিজোড় সংখ্যা।

মৌলিক সংখ্যা: ১ এর চেয়ে বড় যে সকল সংখ্যার ১ এবং ঐ সংখ্যা ব্যতীত অন্য কোন গুণনীয়ক নেই, সেগুলোকে মৌলিক সংখ্যা। যেমন- ২, ৩, ৫, ৭, ১১ ইত্যাদি। মৌলিক সংখ্যার ১ এবং সেই সংখ্যা ব্যতীত অন্য কোন উৎপাদক নেই।

যৌগিক সংখ্যা বা কৃত্রিম সংখ্যা: ১ এর চেয়ে বড় যে সকল সংখ্যার ১ এবং ঐ সংখ্যাটি ছাড়া অন্তত একটি গুণনীয়ক আছে সেগুলোকে যৌগিক সংখ্যা। যেমন- ১২, ২৫, ৪২ ইত্যাদি।

Note: যৌগিক সংখ্যার গুণনীয়কের সংখ্যা কমপক্ষে তিনটি।(alert-success)

গুণনীয়ক: কোন সংখ্যা যে যে সংখ্যা দ্বারা বিভাজ্য, সেগুলেfই ঐ সংখ্যার গুণনীয়ক। গুণনীয়ককে উৎপাদকও বলে।

Notes: নিচের # চিহ্নিত বাক্য গুলো লক্ষ্য করুন।

  • # প্রত্যেক সংখ্যা নিজেই তার একটি গুণনীয়ক।
  • # ১ যেকোন সংখ্যারই একটি গুণনীয়ক। যেমন- ১২ সংখ্যাটির গুণনীয়ক বা উৎপাদক হলো- ১, ২, ৩, ৪, ৬ ও ১২।
  • # ১ মৌলিক সংখ্যা নয়, যৌগিক সংখ্যাও নয়।
  • # ২ হল ক্ষুদ্রতম একমাত্র মৌলিক জোড় সংখ্যা।(alert-success)

আমরা সিরিজ করে গণিতের শর্টকাট সূত্র, প্রচলিত সূত্রের বাইরে অনেক সূত্র নিয়ে নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করছি। নিত্য নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন।  

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.