প্রযুক্তি

Type Here to Get Search Results !

9th week Class 8 Science Assignment || ৯ম সপ্তাহের ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

Class 8 Assignment

আমার বাবার পারফিউমের বেfতলের মাথায় চাপ দিলে ফুস করে শব্দ করে বাতাস ও তরল বের হয়। ঘরের যে প্রান্তেই থাকি না কেন, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সু-ঘ্রাণ আসে আমার নাকে এমন কি আসে পাশে সবাই  এ সু-ঘ্রাণ পেয়ে থাকে। ভেবে দেখেছি পারফিউমের কণাগুলেf কত দ্রুত আমার নাকে চলে আসে। এটাই হলো ব্যাপন। আবার বাতাসের মধ্যে যদি কোনো হালকা গ্যাসীয় বস্তু ছড়িয়ে দেই তাহলে তা বেশি ঘনত্ব থেকে কম ঘনত্বের দিকে ছুটে যাবে। এটাও ব্যাপনের জন্য হয়ে থাকে। 

কয়েকটি শুকনো কিশমিশকে একটা কাপে পানি ঢেলে তাতে কয়েক ঘণ্টা ছেড়ে রাখলে পরে দেখা যাবে যে কিশমিশগুলো ফুলে ঢোল হয়ে গেছে। কারণ অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় কিশমিশের পাতলা পর্দা ভেদ করে ভেতরে পানি ঢুকে গেছে।

ক) ব্যাপন এর বৈশিষ্ট্যঃ

তরল বা বায়বীয় পদার্থের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অধিক ঘনত্বের অঞ্চল থেকে কম ঘনত্বের অঞ্চলে যাওয়াকে ব্যাপন বলে। কঠিন পদার্থের ব্যাপন ঘটে। নিন্মে ব্যাপন এর কিছু বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলোঃ

  1. বস্তুর ভর ও তাপমাত্রাঃ ব্যাপনের হার বস্তুর ভরের উপর নির্ভরশীল। ভর যত বেশি হবে বস্তুর ব্যাপনের হার তত কম হবে। অর্থাৎ ব্যাপন হার বস্তুর ভরের ব্যস্তানুপাতিক।
  2. পদার্থের অণুর ঘনত্বঃ যে পদার্থের ব্যাপন ঘটবে সে পদার্থের অণুর ঘনত্ব বেশি থাকলে ব্যাপন হার বেশি হবে, অণুর ঘনত্ব কম হলে ব্যাপন হার কম হবে।
  3. মাধ্যমের ঘনত্বঃ যে মাধ্যমে ব্যাপন ঘটবে সে মাধ্যমের ঘনত্ব বেশি | বলে ব্যাপন হার কম হবে। মাধ্যমের ঘনত্ব কম হলে ব্যাপন হার বেশি হবে।
  4. বায়ুমণ্ডলের চাপঃ বায়ুমণ্ডলের চাপ বাড়লে ব্যাপন হার কমবে, বায়ুমণ্ডলের চাপ কম হলে ব্যাপনের হার বাড়বে।
  5. ঘনত্বের তারতম্য যত বেশি হয় তত তাড়াতাড়ি কণাগুলাে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত একই সময়ে এবং একই স্থানে পরিবেশের তাপমাত্রা ও বায়ুমণ্ডলের চাপ সমান থাকে, সেক্ষেত্রে ব্যাপন পদার্থের ঘনত্ব এবং মাধ্যমের ঘনত্বই ব্যাপন নিয়ন্ত্রণকারী প্রভাবক হয়ে দাঁড়ায়। মাধ্যম ও ব্যাপন পদার্থ (যেমন- বেলুন ভর্তি বাতাস এবং চারপাশের বাতাস) যদি একই হয় তাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যাপন ঘটবে যতক্ষণনা পদার্থ দুটোর ঘনত্ব সমান হয়। |

(খ) অভিস্রবণের বৈশিষ্ট্যঃ

অভিস্রবণ বলতে দুটো ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ একটি অর্ধভেদ্য পর্দা দিয়ে পাশাপাশি আলাদা করে রাখলে পর্দা ভেদ করে কম ঘনত্ব দ্রবণ থেকে অধিক ঘনত্ব দ্রবণের দিকে দ্রাবক অণু প্রবেশ করার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। নিন্মে অভিস্রবণের কিছু বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলোঃ

  1. দুটো দ্রবণের ঘনত্ব সমান না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
  2. অভিস্রবন এক প্রকার ব্যাপন।
  3. অভিস্রবণ কেবলমাত্র তরলের ক্ষেত্রে ঘটে। একে অন্যভাবে বলা যায় কোনাে শক্তির প্রয়ােগ ছাড়াই তরলের বাস্তবিক চলাচল। অভিস্রবনকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ অন্তঃঅভিস্রবণ, বহিঃঅভিস্রবণ।

অন্তঃঅভিস্রবণঃ কোষের বাইরে অবস্থিত তরল পদার্থ যখন অর্ধভেদ্য পর্দা ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করে তখন সেই প্রক্রিয়াকে অন্তঃঅভিস্রবণ। বলে।

বহিঃঅভিস্রবণঃ কোষের ভেতর থেকে যখন তরল পদার্থ পর্দা ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে যায় তখন সেই প্রক্রিয়াকে বহিঃঅভিস্রবণ প্রক্রিয়া বলে।

(গ) ব্যাপন ও অভিস্রবণের পরীক্ষণঃ

ব্যাপন প্রক্রিয়াটি আমাদের আশপাশে অহরহই ঘটে। সূক্ষ্ম পর্যায় থেকে শুরু করে বড় বড় কাজেও ব্যাপন দেখা যায়। যেমনঃ ঘরের এক পাশে কেউ সুগন্ধি স্প্রে করলে সেটা মুহূর্তের মধ্যে সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। কারণ সুগন্ধিটা বােতলের ভেতর খুব চাপের মধ্যে থাকে। এতই চাপে থাকে যে সে গ্যাস থেকে তরল হয়ে যায়। ওই তরল যখন আচমকা বের হওয়ার সুযােগ পায়, সে যেখানেই কম ঘনত্ব পাবে, সেখানেই ছুটে যাবে। আমাদের চারপাশে সাধারণত যে বাতাস থাকে, সেটা বেশ কম ঘনত্বের । আর তাই সুগন্ধির কণাগুলাে দ্রুত সব জায়গা দখল করে নেয়।

এক গ্লাস পানিতে এক ফোঁটা গাঢ় নীল জলরং ঢেলে দিলে সেই রং ছড়িয়ে যেতে থাকে। ততক্ষণ ছড়াতে থাকে, যতক্ষণ পুরাে পানি নীল হয়ে যাচ্ছে। সেই রঙিন পানি আবার যদি আরেকটি বড় পানিভর্তি গ্লাসে ঢালি তা হলে ওই বড় গ্লাসেরও সৰু পানি রঙিন হয়ে যাবে। কিন্তু পরেরবার দেখা যাবে বড় গ্লাসের পানির রং আগের চেয়ে হালকা হয়ে গেছে। কারণ পরের গ্লাসে পানির পরিমাণ বেশি। এতে বােঝা যায়, ব্যাপন প্রক্রিয়া ততক্ষণ চলতে থাকে যতক্ষণ না দুটি তরলের ঘনত্ব সমান হচ্ছে। অর্থাৎ একটি | পাত্রে রঙিন পানি ঢাললে রংগুলাে ততক্ষণ পর্যন্ত ছড়াবে যতক্ষণ না সেটা গ্লাসের সব পানির অণুতে মিশে যাচ্ছে। অর্থাৎ সব জায়গায় পানির ঘনত্ব সমান না হওয়া পর্যন্ত রং ছড়াতেই থাকবে।

অভিস্রবণের বেলায়ও তাই। পানিতে ডােবানাে কিশমিশ ফুলে ঢােল হবে ঠিকই কিন্তু কিশমিশটা ফুলতে ফুলতে একেবারে ডিমের সমান বড় হয়ে যাবে না। কারণ একটা পর্যায়ে তার পানি শােষণ করা বন্ধ হয়ে যাবে যতক্ষণ না কিশমিশের ভেতরের ঘনত্ব আর বাইরের পানির ঘনত্ব একই হয়।

সতর্কতাঃ 

সকল অ্যাসাইনমেন্ট নিজে লেখা উত্তম। কপি বা গাইড দেখে অ্যাসাইনমেন্ট লিখে জমা দিলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।(alert-error)

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.