অ্যাসাইনমেন্ট নং:(৩)
বিষয়: রসায়ন বিজ্ঞান
কোড: ১৩৭
পদার্থের গঠন ও পর্যায় সারণী
অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম: রাসায়নিক বিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ, বিক্রিয়র সমীকরণ ও উৎপন্ন গ্যাসের শনাক্তকরণ পদ্ধতি বর্ণনা এবং কাপড় কাচা সোডা অথবা বেকিং সোডার আনবিক ভর নির্ণয়।
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর
পরীক্ষণ সংশ্লিষ্ট উপকনের ব্যবহার
পরীক্ষার নামঃ একটি স্বচ্ছ কাচের গ্লাসে বেকিং সোডা ও ভিনেগার বিক্রিয়া এবং বিক্রিয়া থেকে উৎপন্ন গ্যাসের শনাক্তকরণ।
পরীক্ষণ সম্পন্ন করতে যে সব উপকরণ নিয়েছিলাম।
- ১। ভিনেগার
- ২। বেকিং সোডা
- ৩। কাচের গ্লাস
- ৪। গ্যাস লাইট
- ৫। CaO
- ৬। চুনের পানি
- ৭। চামচ
- ৮। বেলুন
উপকরণ গুলোর যথাযথ ব্যবহার বর্ণনা করা হলো-
- ১। ভিনেগার ও বেকিং সোডা টেবিল চামচ দিয়ে সঠিক ভাবে পরিমাপ করেছি।
- ২। কাচের গ্লাস যেন ভেঙে না যায় তাই সতর্কতার সাথে ব্যবহার করেছি।
- ৩। পানিতে চুন মেশানোর পর প্রায় ৩ ঘন্টা পর চুনের পানি সংগ্রহ করেছি। গ্লাসের তলের অংশের পানি ব্যবহার করিনি সেদিকে লক্ষ্য রেখেছি।
- ৪। ভালো উন্নতমানের বেলুন ব্যবহার করেছি। বেলুনে কোন ছিদ্র ছিলো কিনা তা ভালো করে খেয়াল করেছিলাম।
উপকরণগুলোর চিত্র অংকন করা হলো-
'খ' নং প্রশ্নের উত্তর
পরীক্ষাটি যেভাবে সম্পন্ন করেছিলাম:
পর্যবেক্ষণঃ পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম যে, কোন কোমল পানীয় যেমনঃ কোকাকোলা, গ্লাসে ঢাললে যেরকম বুদবুদ হয় ঠিক সেরকম বুদবুদ বেকিং সোডা ও ভিনেগার মিশ্রণের ফলে উৎপন্ন হয়।
আমার করা রাসায়নিক বিক্রিয়া ও এর ব্যাখ্যাঃ
ভিনেগারের সাথে বেকিং সোডা মিশ্রিত করলে সোডিয়াম এসিটেট, পানি ও কার্বনডাইঅক্সাইড উৎপন্ন করে।
বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
এখানে,
A= বেকিং সোডা
B= ভিনেগার
C= সোডিয়াম এসিটেট
D= পানি
E= কার্বনডাইঅক্সাইড
'গ' নং প্রশ্নের উত্তর
উৎপন্ন গ্যাসের শনাক্ত করন-
আমার করা রাসায়নিক বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ
NaHCO3+CH3COOH→CH3COONa+H2O+CO2(g)
বিক্রিয়াটির উৎপাদ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, CO2 উৎপন্ন হয়েছে।
CO2 শনাক্তকরণের পদ্ধতি:-
আমরা জানি CO2 গ্যাস আগুন নেভাতে সাহায্য করে।
প্রথমত একটি মোমবাতি গ্যাস লাইটারের সাহায্যে জ্বালিযে রাখি। এরপর একটি স্বচ্চ কাচের গ্লাসে এক টেবিল চামচ বেকিং পাউডার নিয়ে গ্লাসের মধ্যে ২ টেবিল চামচ ভিনেগার যোগ করি।
ভিনেগার ও বেকিং সোডা পরস্পরের সাথে বিক্রয়া করে কিছু বুদবুদ উৎপন্ন করে। এরপর বিক্রিয়া চলাকালীন গ্লাসটি জ্বলন্ত মোমবাতির শিখার উপর হালকা কাত করলে জ্বলন্ত শিখা নিভে যায়। যেহেতু আমরা জানি, কার্বনডাইঅক্সাইড গ্যাস আগুন নিভাতে সাহায্য করে তাই বলা যায় উৎপন্ন গ্যাসটি মূলত কার্বনডাইঅক্সাইড।
কার্বনডাইঅক্সাইড শনাক্তকরণের রাসায়নিক পদ্ধতি:
আমরাজানি,
বদ্ধপাত্রে ক্যালসিয়াম অক্সাইড (CaO) এবং কার্বনডাইঅক্সাইড (CO2) পরস্পরের সাথে বিক্রিয়া করে CaCO2 (ক্যালসিয়াম কার্বনেট) গঠন করে।
বিক্রিয়াঃ CaO+CO2→CaCo3
'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর
কাপড় কাচা সোডা অথবা বেকিং সোডার প্রধান উপাদানের আপেক্ষিক আনবিক ভর নির্ণয়:-
কোন মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের অনুতে যে পরমানুরগুলো থাকে তাদের আপেক্ষিক পারমানবিক ভর নিজ নিজ পরমানুর সংখ্যা দিয়ে গুন করে যোগ করলে প্রাপ্ত যোগফলই হলো ঐ অনুর আপেক্ষিক আনবিক ভর।
আপেক্ষিক পারমানবিক ভরকে পারমাবিক ভর এবং আপেক্ষিক আনবিক ভরকে সাধারণভাবে আনবিক ভর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখানে NaHCO3 অনুতে উপস্থিত সোডিয়াম (Na) এর আপেক্ষিক পারমানবিক ভর 23 এবং পারমানুর সংখ্যা 1, হাইড্রোজেন (H) এর আপেক্ষিক পারমানবিক ভর 1 এবং পরমাণুর সংখ্যাও 1, কার্বন (C) এর আপেক্ষিক পারমানবিক ভর 12 এবং পরমানুর সংখ্যা 1 এবং অক্সিজেন (O) এর আপেক্ষিক পারমানবিক ভর 16 এবং পরমাণু সংখ্যা 1.
অতএব,
NaHCO3 এর আপেক্ষিক পারমানবিক ভর
=(23×1)+(1×1)+(12×1)+(16×3)
=23+1+12+48
=84 Ans.
Post a Comment
0 Comments